প্রতীকী ছবি।
স্বামী-স্ত্রীর আধার কার্ড হয়নি। তিন ছেলের আধার কার্ডের জন্য বার কয়েক আবেদন করেও কার্ড হাতে আসেনি। এই নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর তর্কাতর্কি বাধে। অসুস্থ হয়ে পড়েন স্ত্রী। বুধবার দুপুরে তসলিমা বিবি (৪৮) নামে ওই মহিলা মারা গিয়েছেন বসিরহাট জেলা হাসপাতালে। হৃদ্রোগে মৃত্যু হয়েছে তাঁর, জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা। পরিবারের দাবি, এনআরসি হলে দেশ ছাড়তে হবে, এই আতঙ্কে অসুস্থ হয়ে পড়েন তসলিমা।
উত্তর ২৪ পরগনার হিঙ্গলগঞ্জের কাটাখালি গ্রামে থাকতেন তসলিমা। দিন কয়েক আগে এই গ্রামেরই মোমেনা বেওয়ার মৃত্যুতে এনআরসি আতঙ্কের প্রসঙ্গ উঠেছিল। কয়েক দিনের ব্যবধানে একই এলাকার দুই মহিলার মৃত্যুতে গ্রামে আতঙ্ক আরও বেড়েছে। এ নিয়ে উত্তর ২৪ পরগনা জেলায় এনআরসি আতঙ্কে পাঁচ জনের মৃত্যুর অভিযোগ উঠল।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, মঙ্গলবার দুপুরে স্বামী আকবর আলির সঙ্গে বচসা বাধে তসলিমার। অসুস্থ হয়ে পড়ায় ন’নম্বর সান্ডেলেরবিল গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। পরে পাঠানো হয় বসিরহাট জেলা হাসপাতালে। বুধবার সেখানেই মারা গিয়েছেন তিনি।
আকবর-তসলিমার তিন ছেলে, এক মেয়ে। এক টুকরো জমিতে অ্যাসবেস্টসের ছাউনি দেওয়া ঘর। তারও কাগজপত্রের খোঁজ নেই। কাজের সূত্রে দীর্ঘ দিন তামিলনাড়ুতে ছিলেন আকবর-তসলিমা। আকবরের দাবি, সে কারণে আধার কার্ড করানো হয়ে ওঠেনি। সম্প্রতি গ্রামে ফিরে রেশন কার্ড সংশোধন, ভোটার পরিচয়পত্রের সঙ্গে আধার নম্বর সংযুক্তির বিষয়গুলি নিয়ে জানতে পারেন। সে সব না থাকায় চিন্তায় পড়েছিলেন।