মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
নির্বাচন কমিশন এবং কেন্দ্রের শাসকদল বিজেপি-কে একই বন্ধনীতে রেখে আক্রমণ শানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নীলবাড়ির লড়াই শেষে শনিবার প্রথম বিধানসভা অধিবেশনে যোগ দিতে এসেছিলেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রীর উপস্থিতিতে বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় তৃতীয় বারের জন্য বিধানসভার স্পিকার নির্বাচিত হন। তার পরেই সংক্ষিপ্ত অধিবেশনে বক্তৃতা করেন তিনি। মমতা বলেন, ‘‘নির্বাচন কমিশনের প্রত্যক্ষ সহযেোগিতায় কোথাও কোথাও রিগিং হয়েছে। আমরা সব জানি। সব বুঝতে পেরেছি। আমরা আবার বলছি, নির্বাচন কমিশনের সংস্কার হওয়ার প্রয়োজন আছে। কয়েক জন অবসরপ্রাপ্ত অফিসার একটা চিরকুট লিখে লোককে বদলি করে দিচ্ছেন!’’ তিনি আরও বলেছেন, ‘‘যে বিরোধিরা জিতে এসেছেন, তাঁরা বেশির ভাগই জিতে এসেছেন (নির্বাচন) কমিশনের দয়ায়। তাঁরা স্পিকার নির্বাচন বয়কট করেছেন! ওঁদের তো জনগণ বয়কট করেছে! ইলেকশন কমিশন না থাকলে ওরা ৩০টা আসনও পেত না।’’
বিধানসভায় বামফ্রন্ট ও কংগ্রেসের প্রতিনিধিত্ব না থাকা এবং বিজেপি-র অধিবেশন বয়কটের সিদ্ধান্তকে কটাক্ষ করেন মমতা। তিনি বলেন, ‘‘বিধানসভায় কংগ্রেস ও সিপিএমের সদস্য নেই। নির্বাচন কমিশনের দয়ায় এসেছে ওরা। ঠিক আছে জনগণের জনাদেশ বলে মেনে নিচ্ছি। আপনার অনুষ্ঠান বয়কট করেছেন। আমার শপথের অনুষ্ঠানও বয়কট করেছিলেন। আসলে ওদের সম্পূর্ণ বয়কট করেছে জনগণ।’’ বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী আরও অভিযোগ করেছেন, ‘‘আমাদের হারাতে অনেক টাকা খরচ করেছে। সেই টাকা ভ্যাকসিনে খরচ করলে ভাল হত। সকলকে টিকা দেওয়া যেত। সার্বিক টিকাকরণ হত।’’
প্রসঙ্গত, ভোটের ফল প্রকাশের পর নির্বাচন কমিশনের কর্মপদ্ধতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন বিজেপি নেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেছিলেন, ‘‘নির্বাচন কমিশন যদি ভাল ভাবে গণনাপর্ব পরিচালনা করত, তা হলে বিজেপি-র আসন সংখ্যা ১০০-র বেশি হত।’’