চলতি মাসে ছ’টি দিন লকডাউনের আওতায় থাকছে রাজ্য। —নিজস্ব চিত্র।
প্রথমে বলা হয়েছিল চলতি মাসে রাজ্যে ৯ দিন সম্পূর্ণ লকডাউন হবে। পরে বার বার সেই লকডাউনের দিন বদল হয়। শেষে ৭ দিনে দাঁড়িয়েছিল। এ বার আরও এক দিন কমে গেল পূর্ণ লকডাউনের দিন। বুধবার নবান্ন বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানিয়েছে, আগামী ২৮ অগস্ট রাজ্যে লকডাউন হচ্ছে না। তবে পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী ২০, ২১, ২৭ এবং ৩১ অগস্ট পূর্ণ লকডাউনের বিধিনিষেধ বলবৎ থাকবে।
নবান্ন থেকে আগে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছিল, অগস্ট মাসে ৯ দিন সম্পূর্ণ লকডাউন হবে। কিন্তু যে দিন এই ঘোষণা করা হয়, সে দিন রাতে স্বরাষ্ট্র দফতর টুইট করে জানায় ২ এবং ৯ অগস্ট রাজ্যে লকডাউন হচ্ছে না। এ দিন ফের রাজ্য সরকারের তরফে বিজ্ঞপ্তি জারি করে ২৮ তারিখের পূর্ণ লকডাউন স্থগিত করা হয়েছে। ফলে চলতি মাসে লকডাউন হচ্ছে ৬ দিন। নবান্ন সূত্রে খবর, ২৮ তারিখ লকডাউন হলে টানা কয়েক দিন ব্যাঙ্ক বন্ধ হয়ে যাবে। সে কারণেই এই দিনটি লকডাউনের আওতা থেকে বাতিল করা হয়েছে।
যদিও লকডাউনের দিন বাতিল করা নিয়ে প্রশাসনের কড়া সমালোচনা করেছেন বিরোধীরা। বিজেপি নেতার দাবি রাহুল সিংহ জানান, উদ্দেশ্য প্রণোদিত ভাবে বার বার দিন বদল হচ্ছে। রাজনৈতিক কারণেই বারবার বদল করা হচ্ছে। সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তীর বক্তব্য, ‘‘লকডাউনের দিন কমিয়ে রাজ্য সরকার প্রহসন এবং প্রতারণা করছে। এ ভাবে প্রতারণা করার অধিকার নেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। আগে চার বার দিন বদল করা হয়েছে। মানুষ বোকা নয়। সবাই সব বোঝে।’’
আরও পড়ুন: জ্বরে অচেতন বৃ্দ্ধ পড়ে ফুটপাতে, পুলিশের ঘাড়ে দায় চাপিয়ে দর্শক বাসিন্দারা
বহরমপুরের সাংসদ তথা লোকসভায় কংগ্রেস দলনেতা অধীর চৌধুরীও রাজ্যে পূর্ণ লকডাউন কমানোর বিরোধিতা করেছেন। তিনি বলেন, ‘‘পশ্চিমবঙ্গে কী হচ্ছে আর কী হচ্ছে না বোঝা কঠিন। রাজ্যে তুঘলঘি শাসন চলছে। সাধারণ মানুষকে গিনিপিগ হিসাবে ব্যবহার করছে। এক বার বলছে লকডাউন, এক বার লকডাউন নয়। কী হচ্ছে? করোনাকে সামনে রেখে রাজ্যে নৈরাজ্যের বাতাবরণ তৈরি হয়েছে।’’