ব্যানারে ছবি থাকলেও মিছিলে হাঁটতে দেখা যায়নি সাংসদ লকটে চট্টোপাধ্যায়কে।
চুঁচুড়ায় মিছিল করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। সেই মিছিলের ব্যানারে ছবি ছিল স্থানীয় সাংসদ লকটে চট্টোপাধ্যায়ের। কিন্তু নিজের এলাকা হুগলিতে দলের মিছিলে হাঁটতে দেখা যায়নি লকেটকে। নিজের সাংসদ এলাকায় রাজ্য সভাপতির মিছিলে হুগলির সাংসদ কেন রইলেন না, তা নিয়েই উঠেছে প্রশ্ন। যদিও বিজেপির বক্তব্য, দলেরই নির্দেশে সোমবার অন্য কর্মসূচিতে ছিলেন লকেট।
গত কয়েক দিন ধরেই রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ তোলার পাশাপাশি নরেন্দ্র মোদী সরকারের আট বছর পূর্তি নিয়ে নানা কর্মসূচি পালন করছে বিজেপি। জেলায় জেলায় হচ্ছে মিছিল, জনসভা। শনিবার এমনই এক মিছিলে মালদহে সুকান্তের সঙ্গে হাঁটেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সোমবার চুঁচুড়ায় ছিল সুকান্তের মিছিল। সেই মিছিলে সাংসদ উপস্থিত থাকবেন ধরে নিয়েই স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্বের ব্যানারে লকেটের ছবি ব্যবহার করেন। কিন্তু সোমবার মিছিলে লকেটকে দেখতে না পেয়ে তাঁর অনুপস্থিতি নিয়ে ওঠে প্রশ্ন। এর জবাবে সংবাদমাধ্যমকে সুকান্ত বলেন, ‘‘রাজ্য জুড়ে কর্মসূচি চলছে। সকলকে সব জায়গায় উপস্থিত থাকতেই হবে এমন কোনও কথা নেই।’’ মিছিল যাতে সফল হয়, সেটা দেখতে আগেই হুগলিতে এসে বৈঠক করেন বলেও দাবি করেন সুকান্ত।লকেটের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা না গেলেও বিজেপির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, রাজ্য সাধারণ সম্পাদক হিসেবে লকেট সোমবার আসানসোল ও পুরুলিয়ায় দলেরই কর্মসূচিতে যোগ দিতে গিয়েছেন।
সোমবার চুঁচুড়ায় মিছিল নিয়ে জেলাশাসকের দফতরে যাবে বলে ঠিক করেছিল বিজেপি। কিন্তু পুলিশের বাধায় তা সম্ভব হয়নি। জেলা সভাপতি তুষার মজুমদার-সহ কয়েক জন বিজেপি নেতা ও কর্মীকে গ্রেফতারও করে পুলিশ। গোলমালের আশঙ্কায় জলকামানেরও ব্যবস্থা রেখেছিল প্রশাসন। পুলিশের সঙ্গে বিজেপি কর্মীদের ধ্বস্তাধ্বস্তিও হয়। পরে সুকান্ত বলেন, ‘‘পুলিশ গনতান্ত্রিক আন্দোলনে বাধা দিয়েছে। জেলা সভাপতিকে গ্রেফতার করেছে। মহিলা সহ পাঁচ জন বিজেপি কর্মী অসুস্থ হয়েছেন। এর পরে বৃহত্তর আন্দোলন হবে।’’
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।