মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
রাষ্ট্রপতি ভবনে নৈশভোজের আমন্ত্রণ শনিবার রাতে। জি-২০ সম্মেলনে যোগ দিতে আসা রাষ্ট্রনেতাদের ওই দিনই আপ্যায়ন করবেন ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মূ। একই সঙ্গে ওই নৈশভোজের আসরে তিনি আমন্ত্রণ জানিয়েছেন দেশের সমস্ত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকেও। আমন্ত্রণ পেয়েছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নৈশভোজে যোগ দিতে শনিবারই মমতার দিল্লি যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু শেষ মুহূর্তে নবান্নের তরফে জানানো হয়েছে মমতা দিল্লি পৌঁছচ্ছেন এক দিন আগেই।
শুক্রবার দুপুরের বিমানেই কলকাতা থেকে দিল্লির জন্য রওনা হবেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। সব ঠিক থাকলে রাজধানীতে পৌঁছে যাবেন সন্ধ্যার আগেই। দিল্লিতে জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনের আসর বসছে শনি এবং রবিবার। যদিও বিভিন্ন দেশ থেকে রাষ্ট্রনেতারা ইতিমধ্যেই আসতে শুরু করেছেন দিল্লিতে। বুধবার থেকেই একে একে এসে পৌঁছচ্ছেন তাঁরা। নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে শুক্রবার মমতাও পৌঁছে যাবেন দিল্লিতে।
তবে কি জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনের নৈশভোজের পাশাপাশি কোনও বাড়তি কাজ নিয়ে দিল্লি যাত্রা করছেন মমতা? তাই কি একদিন আগেই তিনি পৌঁছচ্ছেন দিল্লিতে? সম্প্রতি দেশের নাম ‘ভারত’ হওয়ার ব্যাপারে কেন্দ্র বনাম বিরোধীদের টানাপড়েন চলছে। তা ছাড়া বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’র পরবর্তী বৈঠকও হওয়ার কথা দিল্লিতে। বাংলার সরকার নিজেদের দাবি দাওয়া নিয়েও ইতিমধ্যে দিল্লি যাত্রার ঘোষণা করেছে। যদি নবান্ন জানাচ্ছে, রাজনৈতিক কারণ নয়, প্রশাসনিক প্রয়োজনেই এগিয়ে আনা হয়েছে মমতার দিল্লি যাত্রার তারিখ।
জি-২০ শীর্ষ সম্মেলন উপলক্ষে ইতিমধ্যেই নয়াদিল্লিকে নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয়েছে। তবে শনিবার থেকে আরও কড়াকড়ি শুরু হবে। নিয়ন্ত্রণ করা হবে যান চলাচল। কার্যত অঘোষিত কারফিউ জারি থাকবে রাজধানীতে। শর্ত আরোপ করা হবে বিমানের ওঠানামার ক্ষেত্রেও। নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, নিরাপত্তার কারণে প্রায় দূর্গে পরিণত হওয়া নয়াদিল্লিতে নানা সমস্যার কথা ভেবেই প্রশাসনিক কারণে এক দিন এগিয়ে আনা হয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর দিল্লি যাত্রা।