—ফাইল চিত্র ।
মালদহের মানিকচকে বছর চারেকের এক শিশু বার্ড-ফ্লু ভাইরাসে আক্রান্ত হতেই নড়েচড়ে বসল প্রশাসন। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে বৃহস্পতিবারই মানিকচক যাচ্ছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ‘হু’ এবং স্বাস্থ্য ভবনের কর্তারা। তেমনটাই জানানো হয়েছে স্বাস্থ্য ভবনের তরফে। স্বাস্থ্য ভবনের তরফে একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘‘মালদহের কালিয়াচকে এক শিশু বার্ড ফ্লুতে আক্রান্ত। প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন বিভাগের আধিকারিকদের সঙ্গে মিলে বিষয়টির দিকে নজর রাখা হচ্ছে। ভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়েছে বলে এখনও কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি। বৃহস্পতিবার সদর দফতর থেকে একটি দল যাচ্ছে মানিকচকে। আক্রান্ত শিশুটি এখন সুস্থ।’’
স্বাস্থ্য ভবনের তরফে আরও জানানো হয়েছে, বার্ড-ফ্লু পরিস্থিতি বুঝতে এখনও পর্যন্ত ২৯ হাজার হাঁস-মুরগির পরীক্ষা করা হয়েছে। তবে কারও শরীরেই ভাইরাসের খোঁজ মেলেনি। আরও পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে বলেও স্বাস্থ্য ভবন সূত্রে খবর।
গত ফেব্রুয়ারিতেই মানিকচকের ওই চার বছরের শিশুটিকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল। ধুম জ্বরের সঙ্গে প্রচণ্ড শ্বাসকষ্ট ও পেটব্যথার লক্ষণ ছিল তার। পরে পরীক্ষা করে তার শরীরে বার্ড-ফ্লু ভাইরাস ধরা পড়ে। পরীক্ষা করে দেখা যায়, এইচ৯এন২ বার্ড-ফ্লু ভাইরাসের সংক্রামক প্রজাতির সংক্রমণ হয়েছে শিশুটির শরীরে। সুস্থ হয়ে ওঠার পর আবার এক বার হাসপাতালে ভর্তি করাতে হয় ওই শিশুটিকে। অবশেষে মে মাসে তাকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
হু জানিয়েছে, শিশুটির বাড়িতে হাঁস ও মুরগির খামার ছিল। সেখান থেকেই সংক্রমণ ছড়িয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে শিশুটির পরিবারের আর কেউ সংক্রমিত নন। কারও শরীরেই ভাইরাস পাওয়া যায়নি।
উল্লেখ্য, স্বাস্থ্য ভবনের তরফে জানানো হয়েছে আড়াই বছরের প্রবাসী এক শিশুর শরীরেও বার্ড-ফ্লু ভাইরাসের খোঁজ পাওয়া গিয়েছে। তবে সে এখন অস্ট্রেলিয়ায়। জানুয়ারি মাসে ওই শিশুটির শরীরে ভাইরাসের খোঁজ মেলে। স্বাস্থ্য ভবন জানিয়েছে, যে বিমানে চড়ে ওই শিশু অস্ট্রেলিয়া গিয়েছিল, তার যাত্রীদের সকলেই সুস্থ রয়েছেন। কোনও রকম সংক্রমণ ছড়ায়নি।