ইন্দ্রনীল সেন।
রাজ্যের অন্যতম ব্যস্ত মন্ত্রীদের মধ্যে তিনি এক জন। সেই সঙ্গে রয়েছে গানের টান। আর এই দুয়ের মিশেলে তিনি মহিলাদের চোখে এখনও যথেষ্ট আকর্ষণীয়। তিনি ইন্দ্রনীল সেন। তাঁর জীবনে প্রেম আসে?
আনন্দবাজার অনলাইনের ফেসবুক লাইভে রাজ্যের পর্যটন প্রতিমন্ত্রীর জবাব, ‘‘প্রেম অবশ্যই আসে। নতুন কাজ, নতুন গানের প্রেমে তো অহরহ পড়ছি।’’ একই সঙ্গে জানিয়ে দিলেন, তাঁর সবচেয়ে কাছের বন্ধু তাঁর মেয়ে। তবে কঠোর পরিশ্রমের সঙ্গেও বন্ধুত্ব হয়ে গিয়েছে, জানালেন মন্ত্রী।
সঙ্গীতমেলায় শেষ বার প্রকাশ্য মঞ্চে গান গেয়েছেন। ইদানীং কাজের চাপে গানের জলসায় যাওয়া হয়ে ওঠে না। কানায় কানায় ভরা অডিটোরিয়ামের মঞ্চ আলো করে সঙ্গীতানুষ্ঠানও মনে হয় যেন গত জন্মের কথা। মন্ত্রিত্ব, একাধিক দফতর, দলের কাজ— সব সামলে উঠতে উঠতেই দিন ফুরিয়ে যায়। এত দিনের প্রেম, মঞ্চে গান গাইতে না পারা, কতটা পীড়া দেয় ইন্দ্রনীলকে? মন্ত্রী বলেন, ‘‘সত্যি কথা বলতে কি, মাঝে মাঝে খুব মিস করি ওই দিনগুলো। কিন্তু এখন জীবনের অগ্রাধিকার বদলে গিয়েছে।’’
এর পরেই একটি উদাহরণ দিয়ে ইন্দ্রনীল জানান তাঁর বর্তমান অগ্রাধিকার কী। তিনি বলেন, ‘‘ধরুন, একই সময় আমার একটি গানের অনুষ্ঠান আছে কলকাতায়, আবার আমার কেন্দ্রের কেউ কোনও পরিষেবা পাচ্ছেন না, এটা কানে এল। এ ক্ষেত্রে আমি গানের অনুষ্ঠানে যাব না, সোজা চলে যাব সেই মানুষটির কাছে। সরকারি পরিষেবা তাঁকে পৌঁছে দেব। এটাই আমার এই মুহূর্তের অগ্রাধিকার।’’
ইন্দ্রনীল বলেন, ‘‘আমার কেন্দ্রের মানুষের সঙ্গে আড্ডা দিতেই আমার সব চেয়ে বেশি ভাল লাগে। কারণ বাঙালি মাত্রই আড্ডাপ্রিয়। এবং আড্ডা থেকেই আসে নতুন কিছু তৈরি করার প্রেরণা।’’