Abdul Latif

লতিফ কি লুকিয়ে জেলায়

একটি সূত্রের দাবি, বীরভূমেরই কোথাও আত্মগোপন করে আছেন লতিফ। আবার কিছু সূত্রের তরফে বলা হচ্ছে, লতিফ কলকাতায়। তবে লতিফের খোঁজে অভিযানও চালানো হবে বলে সিবিআই সূত্রের খবর।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ০৫ এপ্রিল ২০২৩ ০৬:৫৮
Share:

রাজু ঝা এবং আব্দুল লতিফ। ছবি: সংগৃহীত।

বীরভূমের গরু কারবারি আব্দুল লতিফ কোথায়? কয়লা কারবারি রাজু ঝা খুন হওয়ার পর থেকেই এই প্রশ্নটা বার বার উঠছে।

Advertisement

এই নিয়ে কয়েকটি সম্ভাবনার কথা উঠে এসেছে কয়েকটি সূত্র থেকে। একটি সূত্রের দাবি, বীরভূমেরই কোথাও আত্মগোপন করে আছেন লতিফ। আবার কিছু সূত্রের তরফে বলা হচ্ছে, লতিফ কলকাতায়। তবে লতিফের খোঁজে অভিযানও চালানো হবে বলে সিবিআই সূত্রের খবর। এ সবের মাঝেই ইলামবাজার ও বোলপুরের আশপাশের এলাকায় লতিফের নামে বিপুল সম্পত্তির হদিস মিলেছে। সরকারি তথ্য অনুযায়ী জানা যাচ্ছে, ইলামবাজার থানার পায়ের মৌজা, শান্তিনিকেতন থানার বিনুরিয়া ও সুরুল মৌজায় লতিফের নামে প্রচুর জমি রয়েছে। সেই জমির পরিমাণ প্রায় ২৮০ কাঠা।

সরকারি তথ্য বলছে, লতিফের নামে এই সব জমি রেকর্ড রয়েছে ২০১৭ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে। এর আগে সিবিআই বোলপুর শহরের কাছে লতিফের ৪০টিরও বেশি সম্পত্তির হদিস পায়। সিবিআইয়ের দাবি, যার মধ্যে বোলপুর থেকে কিছুটা দূরে মহিদাপুরে বিশাল পরিমাণ জমির মালিকানা লতিফের পাশাপাশি গরু পাচার মামলার মূল অভিযুক্ত এনামুল হকেরও। সেই সমস্ত জমির আনুমানিক বাজারদর ৫০ কোটিরও বেশি বলে তদন্তকারীদের দাবি।

Advertisement

বিরোধীদের অভিযোগ, এনামুল এবং অনুব্রত মণ্ডলের ঘনিষ্ঠ হওয়ার সুবাদেই এক সময় সুখবাজার পশুহাট সংলগ্ন এলাকায় টেলিফোন বুথে কাজ করা লতিফের এত প্রভাব ও সম্পত্তি। বিজেপির বোলপুর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি সন্ন্যাসীচরণ মণ্ডল বলেন, “ওর এত সম্পত্তি কী ভাবে হল, সেটাই আমাদের প্রশ্ন। আমরা চাই এই সবের তদন্ত হোক।” তৃণমূলের তরফে জানানো হয়েছে, বিষয়টি বিচারাধীন। তাই এই নিয়ে এখন কিছু বলার নেই।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement