দিল্লি যাওয়ার আগে দমদম বিমানবন্দরে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নিজস্ব চিত্র।
ত্রিপুরায় মানবাধিকার কমিশন কোথায়? সোমবার দিল্লি যাওয়ার আগে দমদম বিমানবন্দরে দাঁড়িয়ে এই প্রশ্নই তুললেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রবিবার তৃণমূলের যুব সভানেত্রী সায়নী ঘোষকে গ্রেফতার করা হয়েছে আগরতলায়। তাঁর গ্রেফতারির ঘটনা নিয়ে ক্ষোভও প্রকাশ করেন মমতা। তিনি বলেন, ‘‘কোথায় গেল মানবাধিকার কমিশন? ত্রিপুরায় যেভাবে গণতন্ত্রের হত্যা হয়েছে, তা সারা দেশ দেখেছে। বিজেপিশাসিত রাজ্যের এমন শাসন ব্যবস্থায় মানুষ হাঁপিয়ে উঠেছে। আমাদের বেলায় তো কত মানবাধিকার কমিশন আর ৩৫৫-র কথা বলা হত। এখন সে সব কোথায়?’’
সোমবার সকালেই আগরতলা পৌঁছেছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে গিয়ে তিনি জানান, ত্রিপুরায় গণতন্ত্র নেই। রাজ্যে গণতন্ত্র ফেরানোর লড়াই চলবে। আর দিল্লি যাওয়ার আগে মমতা বলেন, ‘‘সায়নী একজন শিল্পী। তাঁকেও খুনের চেষ্টার মামলায় জড়ানো হয়েছে। কাল রাত থেকে তাঁকে গ্রেফতার করে রেখে দেওয়া হয়েছে। অভিষেকরা গিয়েছে আজ মিটিং করতে। আমরা কত লোককে যে পিজি হাসপাতালে নিয়ে এসেছি চিকিৎসা করাতে তার কোনও হিসেব নেই। ওখানে আহতদের চিকিৎসা পর্যন্ত করতে দেওয়া হচ্ছে না।’’ সোমবার সন্ধ্যায় দিল্লি পৌঁছবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার পরেই আন্দোলনের পরবর্তী রূপরেখা ঠিক হবে তৃণমূল নেতৃত্বের।
সোমবার সকাল থেকেই দিল্লিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের দফতরের বাইরে তৃণমূল সাংসদরা ধর্না কর্মসূচিতে রয়েছেন। তাঁরা ত্রিপুরায় তৃণমূল নেতা-কর্মীদের উপর হামলার ঘটনায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য সময় চেয়েছেন। কিন্তু সোমবার দুপুর পর্যন্ত স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দফতর থেকে তাঁরা সময় পাননি। সূত্রের খবর, ত্রিপুরা নিয়ে আদালতে যাওয়ার পাশাপাশি, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনে যাওয়ার কথাও ভাবছেন তৃণমূল সাংসদরা। তবে তৃণমূলের রাজ্যসভার উপদলনেতা সুখেন্দুশেখর রায় বলেন, ‘‘আমাদের নেত্রী সন্ধ্যায় দিল্লিতে এলে, তাঁকে যাবতীয় পরিস্থিতির কথা জানানো হবে। তাঁর নির্দেশেই আন্দোলনের পরবর্তী রূপরেখা তৈরি করা হবে।’’