পেট্রল ডিজেলের মুল্যবৃদ্ধিতে গণ পরিবহণের খরচ বাড়ছে বলে কেন্দ্রীয় সরকারকে দায়ী করেন ফিরহাদ। তাই পেট্রল ও ডিজেল চালিত পরিবহণ মাধ্যমের বদলে সিএনজি অনেক সস্তা বলে দাবি করেছেন পরিবহণ মন্ত্রী। তাঁর কথায়, "কেন্দ্র যে ভাবে পেট্রল ডিজেলের দাম বাড়াচ্ছে, তাতে বাস ভাড়াও একদিন বিমান ভাড়ার মতো হয়ে যাবে। তাই আমরা বিকল্প হিসেবে সিএনজি-কে বেছে নিয়েছি।"
সিএনজি বাস পরিষেবা শুরু নিয়ে সমস্যার কথা জানালেন পরিবহণমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। ফাইল চিত্র
লাগাতার পেট্রল ও ডিজেলের দাম বৃদ্ধিতে কাহিল পশ্চিমবঙ্গের পরিবহণ ব্যবস্থা। বিকল্প পথ হিসেবে পেট্রল ও ডিজেল পরিচালিত যানের বিকল্প হিসেবে ‘কমপ্রেসড ন্যাচারাল গ্যাস’ (সিএনজি) বাস পরিষেবা শুরু করতে চেয়েছিল রাজ্য সরকার। কিন্তু গত কয়েক মাস ধরেই সেই উদ্যোগ থমকে গিয়েছে। শনিবার পেট্রল ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধি ও বাস ভাড়া সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘‘আমরা ২০০০টি সিএনজি বাসের অর্ডার দিয়ে রেখেছি। লিথিয়াম ব্যাটারির অভাবে আমরা সেই সব বাস রাজ্যে এনে পরিষেবা শুরু করতে পারছি না।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘লিথিয়াম ব্যাটারি চিন ও অস্ট্রেলিয়ায় পাওয়া যায়। অস্ট্রেলিয়া থেকে আনা সম্ভব নয়। সম্প্রতি এক্সাইড কোম্পানির সঙ্গে চিনের চুক্তি হয়েছে। সেই চুক্তি মাফিক তারা এ রাজ্যে লিথিয়াম ব্যাটারি আনলেই আমরা পরিষেবা শুরু করে দিতে পারব।’’
পেট্রল ডিজেলের মুল্যবৃদ্ধিতে গণ পরিবহণের খরচ বাড়ছে বলে কেন্দ্রীয় সরকারকে দায়ী করেন ফিরহাদ। তাই পেট্রল ও ডিজেল চালিত পরিবহণ মাধ্যমের বদলে সিএনজি অনেক সস্তা বলে দাবি করেছেন পরিবহণ মন্ত্রী। তাঁর কথায়, "কেন্দ্র যে ভাবে পেট্রল ডিজেলের দাম বাড়াচ্ছে, তাতে বাস ভাড়াও একদিন বিমান ভাড়ার মতো হয়ে যাবে। তাই আমরা বিকল্প হিসেবে সিএনজি-কে বেছে নিয়েছি।"
তবে বেসরকারি পরিবহণে এখনই সিএনজি পরিষেবা শুরুর মতো পরিকাঠামো রাজ্যে নেই বলেই দাবি করেছেন। সিটি সাব-আরবান বাস সার্ভিসেসের সাধারণ সম্পাদক টিটো সাহা। তিনি বলেন, ‘‘আমাদের সংগঠন পাঁচটি সিএনজি গাড়ি কিনেছে। আরও ১৫টি গাড়ি আসবে। আমরা এই পরিষেবা চালু করতে রাজ্য সরকারের কাছে অসম সরকারের ধাঁচে আর্থিক প্যাকেজ চেয়েছি। তবে সবার আগে রাজ্য জুড়ে পরিকাঠামো (সিএনজি রিফিলিং সেন্টার) গড়ে তুলতে হবে। তার পরেই সিএনজি পরিষেবা সম্ভব। নচেৎ নয়। উন্নত পরিবহণ পরিষেবা দিতে হলে আর্থিক প্যাকেজ ও পরিকাঠামো সবচেয়ে জরুরি।’’