ফাইল চিত্র।
তৃণমূলনেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সোমবার বলেছিলেন, ‘‘বিচারে আইন যা রায় দেবে, আমাদের দল মেনে নেবে। বিচারে যত চরমই শাস্তি হোক, আমরা কোনও হস্তক্ষেপ করব না। যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিলেও আই ডোন্ট মাইন্ড!’’ দলনেত্রীর এ হেন মন্তব্যের সঙ্গে ‘সহমত’ পার্থ চট্টোপাধ্যায়।
মঙ্গলবার সকাল ৬টা ৩৪ মিনিটে ভুবনেশ্বর থেকে পার্থকে নিয়ে কলকাতায় ফিরেছে ইডির দল। বিমানবন্দর থেকে হুইলচেয়ারে বসিয়ে পার্থকে বার করা হয়। সে সময় মমতার মন্তব্য নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে পার্থর সংক্ষিপ্ত জবাব ছিল, ‘‘ঠিক বলেছেন।’’
উল্লেখ্য, এসএসসি ‘দুর্নীতি’ মামলায় শিল্পমন্ত্রী তথা প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর গ্রেফতারের পর সোমবার নজরুল মঞ্চে বঙ্গসম্মান অর্পণের মঞ্চ থেকে প্রথম বার মুখ খোলেন মমতা। তিনি বলেছেন, ‘‘কেউ অন্যায় করে থাকলে কোর্ট আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিক। আমার আইন-আদালতের উপর ভরসা আছে।’’ মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘‘আমি চাই, তিন মাসের মধ্যে বিচার করে দোষীদের শাস্তি দাও। সত্যির বিচার হোক। এই ঘটনা কেউ করতে পারে বলে আমি নিজেও বিশ্বাস করি না। ঘটনা না রটনা— সেটার বিচার হবে। বিচারে আইন যা রায় দেবে, আমাদের দল মেনে নেবে। বিচারে যত চরমই শাস্তি হোক, আমরা কোনও হস্তক্ষেপ করব না। যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিলেও আই ডোন্ট মাইন্ড!’’
মমতার বক্তব্যে স্পষ্ট ছিল, যিনিই দোষী সাব্যস্ত হন, তিনি তাঁকে ছেড়ে কথা বলবেন না। কিন্তু তার আগে পর্যন্ত তিনি তাড়াহুড়ো করে কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছতে চাইছেন না। যদিও মমতার বক্তব্যের পর বিরোধী শিবির বলতে শুরু করেছে, তিনি পার্থের উপর ‘দায়’ চাপিয়ে দিচ্ছেন। আবার বিরোধীদের একাংশ বলছে, পার্থকে কাঠগড়ায় তুলে নিজের এবং দলের ‘দায়’ ঝেড়ে ফেলতে চাইছেন মুখ্যমন্ত্রী।
এর আগে, সাংবাদিক বৈঠকে তৃণমূলের পক্ষ থেকেও বলা হয় যে, অভিযোগ প্রমাণিত হলে পার্থর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে দল ও সরকার।