—নিজস্ব চিত্র।
বাজেট ইস্তাহার হলে আপত্তি কোথায়! এমনটাই বললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার বিধানসভা অধিবেশনের শেষ দিনে রাজ্য বাজেটের সমালোচনা করে কংগ্রেস পরিষদীয় দলের মুখ্য সচেতক মনোজ চক্রবর্তী কটাক্ষের সুরে বলেছিলেন, ‘‘সরকারের বয়স তো মাত্র তিনমাস। তাতে এত বড় বাজেট? এ তো বাজেট হয়নি। হয়েছে তৃণমূলের নির্বাচনী ইস্তাহার। এটা বিধানসভা থেকে প্রকাশ না করে তৃণমূলের পার্টি অফিস থেকে প্রকাশ করতে পারতেন।’’ পরে জবাবি ভাষণ দিতে উঠে নাম করে কংগ্রেস বিধায়কের এমন আক্রমণের জবাব দেন মুখ্যমন্ত্রী।
মমতা বলেন, ‘‘বাজেট নিয়ে কেউ কেউ রাজনীতির কথা বলছেন। বাজেটকে ভোটের ইস্তাহারও বলছেন। আরে যদি এটা ভোটের ইস্তাহারই হয়, তাহলে কোনও অসুবিধা আছে কি? সবই তো মানুষের জন্য করা হয়েছে।’’ এমনটা বলেই থেমে থাকেননি মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর সরকার আর ফিরে আসবে কি না, তা নিয়ে বাম-কংগ্রেস বিধায়কদের বক্তৃতাতেও ছিল কটাক্ষের সুর। সেই প্রসঙ্গে মমতা বলেছেন, ‘‘কেউ কেউ বলছেন আমরা আর মাত্র কিছুদিন রয়েছি। জেনে রেখে দিন, আমরা আবার আসব। আর বিপুল জয় নিয়েই ফিরে আসব।’’
রবিবার হলদিয়ার জনসভা থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে একঝাঁক অভিযোগ করেছিলেন। সেই অভিযোগের অন্যতম ছিল প্রধানমন্ত্রী কিসান নিধি যোজনা থেকে বাংলার কৃষকদের বঞ্চিত করার। বিধানসভা থেকেই এই আক্রমণের জবাব দেন মুখ্যমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী অভিযোগ করেছিলেন, পশ্চিমবঙ্গের ২৫ লক্ষ কৃষকের মধ্যে কেবলমাত্র ৬ হাজার কৃষকের নাম কেন্দ্রকে দিয়েছে রাজ্য সরকার। সেই ৬ হাজারের ব্যাঙ্ক একাউন্টের বিবরণীও কেন্দ্রকে পাঠায়নি রাজ্য। সেই অভিযোগের কথা উল্লেখ করে মমতা বলেন, ‘‘নরেন্দ্র মোদীর অসত্য কথা বলা অভ্যাসে দাঁড়িয়ে গিয়েছে। এই বিষয়ে ওরা একটা পোর্টাল করেছে। আমাদের শুধুমাত্র ভেরিফিকেশন করতে বলেছে। ৬ লক্ষ কৃষকের মধ্যে আড়াই লক্ষের ভেরিফিকেশন আমরা পাঠিয়ে দিয়েছি।’’ তিনি আরও বলেছেন, ‘‘আমরা চাই ভাগ চাষী থেকে শুরু করে ক্ষেত মজুররাও কৃষকনিধি সম্মান প্রকল্পের সুবিধা পান। আমাদের যে প্রকল্প আছে, তাতে এক কাঠা জমি থাকলেও, পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কৃষক বন্ধু প্রকল্পের সুবিধা পান তাঁরা। আর কেন্দ্রের প্রকল্প তাঁদের জন্য, যাঁদের ২ একর জমি আছে।’’