(বাঁ দিকে) অর্পিতা মুখোপাধ্যায়। পার্থ চট্টোপাধ্যায় (ডান দিকে)। ফাইল চিত্র।
২৬ হাজার চাকরি বাতিল নিয়ে কিছু বলবেন? কলকাতা নগর দায়রা আদালতে ঢোকার মুখেই সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখে পড়তে হল নিয়োগ মামলায় ধৃত পার্থ চট্টোপাধ্যায় ‘ঘনিষ্ঠ’ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে। শুক্রবার নিয়োগ মামলায় আদালতে হাজির করানো হয়েছিল এই মামলায় ধৃত রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়, অর্পিতা মুখোপাধ্যায়, মানিক ভট্টাচার্য এবং কুন্তল ঘোষকে।
আদালতের সামনে প্রিজ়ন ভ্যান থেকে যখন অর্পিতা নামছিলেন, তখনই তাঁকে সাংবাদিকরা প্রশ্ন ছোড়েন চাকরি বাতিলের বিষয়টি নিয়ে। অর্পিতা প্রশ্ন করা হয়, ২৬ হাজার চাকরি যে বাতিল হয়ে গেল, এ প্রসঙ্গে তিনি কি কিছু বলতে চান? অর্পিতা বলেন, “আমি এ বিষয়ে কিছু জানি না। যাঁদের প্রশ্ন করার তাঁদের করুন।” শুধু তাই-ই নয়, অর্পিতাকে আরও প্রশ্ন করা হয়, এই যে কয়েক হাজারের চাকরি বাতিল হয়ে গেল, তার দায় কার? এই প্রশ্নের যদিও কোনও জবাব দেননি অর্পিতা।
জামিনের বিষয় নিয়েও সাংবাদিকরা অর্পিতাকে প্রশ্ন করেন। জামিনের বিষয় নিয়ে তিনি কি চিন্তাভাবনা করছেন? এ প্রশ্নেও নিরুত্তর ছিলেন অর্পিতা। শুধু অর্পিতাই নয়, একই প্রশ্ন করা হয়েছিল পার্থ চট্টোপাধ্যায়কেও। চাকরি বাতিলের দায় কি আপনার নয়? অর্পিতার মতো পার্থও এই প্রশ্নে নিরুত্তরই ছিলেন। গত ২০ এপ্রিল এসএসসি মামলায় ২০১৬ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়ার সম্পূর্ণ প্যানেল বাতিল করে দেয় হাই কোর্ট। বিচারপতি দেবাংশু বসাক এবং বিচারপতি মহম্মদ শব্বর রশিদির ডিভিশন বেঞ্চের ওই রায়ের ফলে ২৫,৭৫৩ জন শিক্ষক এবং শিক্ষাকর্মীর চাকরি চলে যায়। যা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে রাজ্য।
উল্লেখ্য, রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ এবং তাঁর ‘ঘনিষ্ঠ’ অর্পিতাকে যথাক্রমে গত বছরের ২৩ জুলাই এবং ২৪ জুলাই রাতে গ্রেফতার করেন ইডির তদন্তকারীরা। তার আগে পার্থের বাড়িতে টানা ২৭ ঘণ্টা ধরে চলে ইডির তল্লাশি অভিযান। সেখান থেকে অর্পিতার নামে বেশ কিছু সম্পত্তির নথি পেয়েই ইডির আধিকারিকেরা যান অর্পিতার ফ্ল্যাটে এবং উদ্ধার করেন কোটি কোটি টাকা। রাজ্যের শিক্ষা দফতরের বেশ কিছু খামও উদ্ধার হয় অর্পিতার ফ্ল্যাট থেকে। এর পরই ইডি জানায়, অর্পিতা পার্থের ‘ঘনিষ্ঠ’ এবং এসএসসি দুর্নীতিতেও জড়িত।