তিমির মৃতদেহ ঘিরে ভিড়। নিজস্ব চিত্র
কয়েক বছরের ব্যবধান। পূর্ব মেদিনীপুরের সৈকতে ফের ভেসে এল তিমির মৃতদেহ।
সোমবার ভোরে মন্দারমণিতে নির্মীয়মান মেরিন ড্রাইভের কাছে বিশাল আকৃতির তিমির মৃতদেহ দেখতে পান স্থানীয়েরা। তার লেজ এবং গোটা শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে বলে জানাচ্ছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। অন্তত ৪৫ ফুট লম্বা তিমিটি। খবর পেয়ে সেখানে যান বন দফতর, মৎস্য দফতর এবং জুওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার প্রতিনিধিরা।
মৎস্য দফতর এবং জুওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া সূত্রের খবর, মৃত তিমিটি ব্যালেন প্রজাতির। এই প্রজাতির ‘সি-হোয়েল’ বঙ্গোপসাগর এবং আরব সাগরে থাকে। এরা দ্বিতীয় বৃহত্তম প্রজাতির তিমি। এর আগেও দিঘাতে ‘ব্লু হোয়েল’ প্রজাতির তিমি মৃত অবস্থায় উদ্ধার হয়েছিল। সহ-মৎস্য অধিকর্তা (সামুদ্রিক) সুরজিৎ বাগ বলেন, ‘‘এ ধরনের তিমি সমুদ্র এবং নদীর জলে ও থাকে। কোনও ভাবে জাহাজের প্রপেলারে আঘাত লেগে ওই তিমি মারা গিয়েছে বলে অনুমান। তারপর সমুদ্রের ঢেউয়ে ভেসে মন্দারমণিতে চলে এসেছে।’’
দেখুন ভিডিয়ো:
দুপুরে জুওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার প্রতিনিধিরা ওই মৃত তিমি থেকে নমুনা সংগ্রহ করে। সমুদ্রের জোয়ারের জল পৌঁছতে পারবে না, সৈকতের এমন একটি গর্ত করেন বন কর্মীরা। সেখানে দূষণ নিয়ন্ত্রণ করার জন্য ব্লিচিং, বিভিন্ন রকমের রাসায়নিক ছড়িয়ে মৃত তিমিটি পোঁতা হয়। কাঁথি মহকুমা বন বিভাগের আধিকারিক প্রদীপকুমার সেন বলেন, ‘‘জুওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার প্রতিনিধিরা নমুনা সংগ্রহ করে নিয়ে গিয়েছেন। আপাতত দু-তিন বছর মৃতদেহটি মাটির নীচে পুঁতে রাখা হবে। তারপর মৃত তিমির কঙ্কাল উদ্ধার করা হবে।’’