প্রতীকী ছবি।
প্রচুর আসন খালি থেকে যাওয়ায় অনুমতির অপেক্ষা না-করেই বিভিন্ন কলেজ নতুন করে পোর্টাল খুলে ভর্তির আবেদন নিতে শুরু করেছিল বলে অভিযোগ। শেষ পর্যন্ত কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের ফাঁকা আসন ভরাতে আবার ভর্তির পোর্টাল খোলার নির্দেশ দিল উচ্চশিক্ষা দফতর। ভর্তির প্রক্রিয়া ৮ অক্টোবর পর্যন্ত চালু থাকবে।
উচ্চশিক্ষা দফতরের আগেকার নির্দেশ অনুযায়ী প্রথম দফায় ভর্তি-প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার কথা ছিল ৩০ সেপ্টেম্বর অর্থাৎ কাল, বৃহস্পতিবার। শুক্রবার ক্লাস শুরুর নির্দেশও দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ভর্তির শেষ পর্যায়ে পৌঁছে দেখা যাচ্ছে, অনেক কলেজে প্রচুর আসন খালি থেকে গিয়েছে। যাদবপুর, প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়েও স্নাতক স্তরের অনেক আসন ফাঁকা। ওই সব আসন পূরণের জন্য মঙ্গলবার উচ্চশিক্ষা দফতর ফের পোর্টাল খুলে ভর্তির আবেদন নেওয়ার নির্দেশিকা প্রকাশ করেছে। সেই সঙ্গে জানানো হয়েছে, এ ছাড়া আগেকার নির্দেশ বহাল থাকছে। অর্থাৎ ১ অক্টোবর, শুক্রবার থেকে ক্লাস শুরু হয়ে যাচ্ছে।
এ বছর উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা হয়নি। বিশেষ মূল্যায়নে দ্বাদশ শ্রেণির প্রায় ১০০ শতাংশ পড়ুয়া পাশ করায় শহরাঞ্চলের কলেজগুলিতে ভর্তির জন্য বিপুল সংখ্যক আবেদন জমা পড়েছিল। তাই এ বার আসন ফাঁকা থাকবে না বলেই আশা করছিলেন অনেক কলেজের কর্তৃপক্ষ। কিন্তু ভর্তি-প্রক্রিয়ার অন্তিম পর্বে এসে দেখা যাচ্ছে, বহু কলেজেই আসন খালি। প্রেসিডেন্সি, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়েও অনেক আসন ফাঁকা। প্রেসিডেন্সিতে প্রায় ২৪০টি আসন শূন্য পড়ে রয়েছে। যাদবপুরে বিজ্ঞান ও কলা বিভাগ মিলিয়ে প্রায় ৩০ শতাংশ আসন ফাঁকা বলে ওই বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রের খবর। গ্রাম-মফস্সলের অনেক কলেজে আবেদনের সংখ্যা খুবই কম।
কয়েক বছর ধরে দেখা যাচ্ছিল, সংস্কৃত, দর্শন, অর্থনীতির মতো বিষয়ের আসন ফাঁকা রয়েছে। এ বার দেখা যাচ্ছে, বিভিন্ন কলেজে সংস্কৃত, দর্শন, অর্থনীতির সঙ্গে সঙ্গে গণিত, বাংলা, এমনকি বিজ্ঞানেরও বিভিন্ন বিষয়ের বহু আসন খালি। ফাঁকা রয়েছে অনেক সংরক্ষিত আসনও।
বেশ কিছু কলেজের পক্ষ থেকে শূন্য আসন পূরণের জন্য উচ্চশিক্ষা দফতরে ভর্তির পোর্টাল আবার খোলার আর্জি জানানো হয়েছিল। সেই সঙ্গে সংরক্ষিত আসনগুলিকে অসংরক্ষিত করার জন্যও আবেদন করা হয়। তার পরেই মঙ্গলবার ফের ভর্তির পোর্টাল খুলে আবেদন নেওয়ার নির্দেশ দেয় উচ্চশিক্ষা দফতর।