লোকালের যাত্রীরাও পাবেন সুবিধা। — প্রতীকী চিত্র।
সদ্যই ‘অমৃত ভারত স্টেশন প্রকল্প’ ঘোষণা করেছে রেল। কেন্দ্রীয় সরকারের উদ্যোগে রাজ্যে হবে আধুনিক মানের রেল স্টেশন। সেই তালিকায় বাংলার ৯৩টি স্টেশন। তালিকায় বর্ধমান, বনগাঁর মতো প্রান্তিক স্টেশন যেমন রয়েছে, তেমনই জায়গা পেয়েছে পাণ্ডবেশ্বর, পানাগড়ের মতো ছোট স্টেশনও। রয়েছে বড় স্টেশন হাওড়া, শিয়ালদহও। তবে কত দিনের মধ্যে এই স্টেশনগুলি আধুনিক হয়ে উঠবে সে ব্যাপারে এখনও পর্যন্ত কিছু জানানো হয়নি।
রেল মন্ত্রক ‘অমৃত ভারত স্টেশন প্রকল্প’-এর আওতায় স্টেশনগুলির আধুনিকীকরণের জন্য নতুন নীতি প্রণয়নের ঘোষণা করে গত ২২ ডিসেম্বর। এ বার সেই স্টেশনের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই সেই তালিকা নিয়ে প্রচারে নেমেছে রাজ্য বিজেপি। দলের পক্ষ থেকে তো বটেই সাংসদেরাও টুইট করে সেই তালিকা প্রকাশ করেছেন। যদিও রেলমন্ত্রী ৯৩টি স্টেশনের কথা বললেও বিজেপির দাবি ৯৪ স্টেশন।
রেলের পরিকল্পনা, তালিকায় থাকা স্টেশনগুলির কোথায় কেমন চাহিদা রয়েছে সেই অনুযায়ী প্রয়োজনীয় সংস্কার হবে। মূল নজর থাকবে যাত্রীদের সুবিধা করে দেওয়ার দিকে। একই সঙ্গে, স্থানীয় উৎপাদনের বাজারও যাতে রেলের স্টেশন ঘিরে তৈরি হতে পারে সে দিকেও নজর রয়েছে রেলের।
রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, এই প্রকল্পে স্টেশনে থাকা বিভিন্ন শ্রেণির যাত্রী প্রতীক্ষালয়গুলিকে মিলিয়ে দিয়ে অত্যাধুনিক ভাবে একটি গড়ে তোলা হবে। সেখানে নানা সুযোগসুবিধাও থাকবে। প্রতীক্ষালয়ে উন্নত মানের ক্যাফেটেরিয়া ও খুচরো পণ্যের দোকান থাকবে। তালিকাভুক্ত স্টেশনগুলিতে প্ল্যাটফর্ম উঁচু করা হবে। ৭৬০ থেকে ৮১০ মিলিমিটার উঁচু প্লাটফর্ম তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে। এ ছাড়াও এই প্রকল্পের আওতায় থাকা স্টেশনমুখী রাস্তাগুলিকে চওড়া করার পাশাপাশি রাস্তার ধারে থাকা অবৈধ নির্মাণ সরিয়ে দেওয়া হবে। যাত্রীদের সুবিধার কথা ভেবেই এই উদ্যোগ।
এ ছাড়াও স্টেশনে পৌঁছনো এবং বার হওয়ার সময়ে যাত্রীরা যাতে সহজেই পথ খুঁজে পান, তা নিশ্চিত করতে বিভিন্ন জায়গায় দিক নির্দেশনার ব্যবস্থা হবে। স্টেশনে যাওয়া-আসার রাস্তাগুলিতে পথচারীদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থার পাশাপাশি উন্নত আলোর ব্যবস্থাও করা হবে। স্টেশন চত্বরে গাড়ি রাখার জন্য পার্কিং প্লেস তৈরি করারও লক্ষ্য নিয়েছে রেল।
রেল বোর্ড বিভিন্ন সময়ে প্রতিবন্ধী যাত্রীদের সুবিধার জন্য যে সব নির্দেশ প্রকাশ করে, তা মেনে প্রতিটি স্টেশনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা থাকবে। মহিলা এবং প্রতিবন্ধী-সহ সব ধরনের যাত্রীদের ব্যবহারোপযোগী শৌচাগার নির্মাণেরও উদ্যোগ নেওয়া হবে।
কোন স্টেশনে কী করা দরকার, তা ঠিক করতে ডিভিশনাল রেলওয়ে ম্যানেজার (ডিআরএম), যাত্রীদের পাশাপাশি স্থানীয় প্রশাসন ও রাজ্য সরকারের বিভিন্ন দফতরের সঙ্গে আলোচনা করা হবে বলেও ঠিক করেছে রেল মন্ত্রক। তালিকাভুক্ত স্টেশনে যাত্রীদের ওঠা-নামার সুবিধা, অসুবিধা বিবেচনা করে প্রয়োজনীয় পরিকল্পনার কথাও রয়েছে এই প্রকল্পে।