ফাইল চিত্র
মিথ্যে কথা বলছেন দেশের প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।এমনই অভিযোগ করলেন রাজ্যের অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র। কেন্দ্রীয় সরকারের দেওয়া তথ্য দিয়েই তিনি দাবি করলেন, মোদী-আমিত শাহ জুটির সময়ে অর্থনীতির বিভিন্ন ক্ষেত্রে ভারতের বৃদ্ধির হার নেমেছে। অন্য দিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে বিভিন্ন ক্ষেত্রে রাজ্যের আর্থিক বৃদ্ধিহয়েছে অনেকটাই। তিনি হিসাব দিয়ে দেখিয়েছেন, দেশের থেকে অনেকটা এগিয়ে আছে রাজ্য।
রবিবার টুইটারে অমিত মিত্র একটি নথি শেয়ার করেছেন।নথিতে রয়েছে অর্থনীতির মাপকাঠির বিভিন্ন ক্ষেত্র। সেখানে রাজ্য ও কেন্দ্রীয় পরিসংখ্যানের তুলনা টানা হয়েছে। নথিতে ২০১৯-২০ আর্থিক বর্ষে জিডিপির হিসাবে জাতীয় স্তরে বৃদ্ধির হার দেখা যাচ্ছে ৪.১৮ শতাংশ, সেখানে রাজ্যের বৃদ্ধির হার ৭.২৬ শতাংশ। শিল্প ক্ষেত্রে জাতীয় স্তরে বৃদ্ধির হার যেখানে ০.৯২ শতাংশ, সেখানে রাজ্যে এই একই ক্ষেত্রে বৃদ্ধির হার ৫.৭৯ শতাংশ। নথি অনুযায়ী পরিষেবা ক্ষেত্রে জাতীয় স্তরে বৃদ্ধির হার যেখানে ৫.৫৫ শতাংশ, সেখানে রাজ্যে সেই বৃদ্ধির হার ৯.২৬ শতাংশ। কৃষিক্ষেত্রে বৃদ্ধির হারে খুব একটা পার্থক্য না থাকলেও একদিকে জাতীয় স্তরে শতাংশের বিচারে বৃদ্ধির হার যখন ৪.০৫ শতাংশ, তখন রাজ্যের বিচারে সেই বৃদ্ধির হার ৪.৭৪ শতাংশ।
কয়েকদিন আগেই রাজ্যে এসে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ প্রায় সমস্ত ক্ষেত্র নিয়েই বিঁধেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। শিল্প থেকে কৃষি, সব ক্ষেত্রেই বাংলা পিছিয়ে পড়েছে বলে দাবি করেছিলেন তিনি। বারবার বলেছিলেন, ‘সোনার বাংলা’ গড়তে সুযোগ চায় বিজেপি। কিন্তু এই দিন, টুইটারে নথি শেয়ার করে অমিত মিত্র প্রমাণ করার চেষ্টা করলেন, অমিত শাহ বা নরেন্দ্র মোদী যাই বলার চেষ্টা করুন, বাস্তবে চিত্রটা অন্য।
আরও পড়ুন: নতুন কার্ড পেতে ফের আবেদন, স্বাস্থ্য পরিষেবায় বাড়ছে জটিলতা
আরও পড়ুন: উন্নয়ন ‘নেই’, রাজনৈতিক কর্মসূচিতে আপত্তি গ্রামের