Social Media

জনমনের খোঁজে অস্ত্র সমাজমাধ্যম

সরকারি প্রকল্পের কথা মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার পাশাপাশি তাঁদের অভাব-অভিযোগ এবং সমস্যার কথা বুঝতে বিশেষজ্ঞ সংস্থার সাহায্য নিচ্ছে সরকার।

Advertisement

ফিরোজ ইসলাম

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৫ জুলাই ২০২০ ০৫:৪২
Share:

প্রতীকী ছবি।

ঘূর্ণিঝড় আমপানের তাণ্ডবের পরে ক্ষতিপূরণ হোক বা অতিমারি পর্বের রেশন বিলি, সব ধরনের কর্মকাণ্ড নিয়েই রাজ্য জুড়ে ক্ষোভ-বিক্ষোভের অন্ত নেই। এই অবস্থায় রাজ্যের বিভিন্ন দফতরের কাজকর্ম নিয়ে মানুষের অভিযোগ জানতে সোশ্যাল মিডিয়া বা সমাজমাধ্যমে কান পাতছে রাজ্য সরকার। সরাসরি জনগণকে পরিষেবা দেয়, এমন দফতরের কর্মতৎপরতা নিয়ে জনতার মনের হদিস পেতেই এই উদ্যোগ বলে নবান্ন সূত্রের খবর।

Advertisement

সরকার যে-সব দফতরের কাজ নিয়ে এই ধরনের নজরদারি চালাতে চায়, তার মধ্যে রয়েছে স্বাস্থ্য, খাদ্য, পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন ইত্যাদি। সরকারি প্রকল্পের কথা মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার পাশাপাশি তাঁদের অভাব-অভিযোগ এবং সমস্যার কথা বুঝতে বিশেষজ্ঞ সংস্থার সাহায্য নিচ্ছে সরকার। সেই জন্য টেন্ডার বা দরপত্র ডেকে সংস্থা নির্বাচন করা হয়েছে। ফেসবুক, টুইটার, ইনস্টাগ্রামের মাধ্যমে উঠে আসা মানুষের ক্ষোভ-বিক্ষোভ শুনবে সরকার। ‘ডিজিটাল আউটরিচ অ্যান্ড সিটিজ়েন এনগেজমেন্ট প্রোগ্রাম’-এর আওতায় এই কাজ করা হচ্ছে বলে নবান্নের খবর। এই উদ্যোগে সমন্বয় রাখতে প্রতিটি দফতরে এক জন নোডাল অফিসারকে দায়িত্ব দেওয়া হবে।

করোনা অতিমারি পর্বে এবং আমপানের মতো দুর্যোগ মোকাবিলায় সরকার নানান পদক্ষেপ করলেও তার সুযোগ-সুবিধা সব ক্ষেত্রে সুষম ভাবে মানুষের কাছে পৌঁছয়নি বলে অভিযোগ। ত্রাণ-দুর্নীতির অভিযোগ অজস্র। দলীয় স্তরে বেশ কিছু নেতার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হয়েছে। করোনা মোকাবিলার ক্ষেত্রে সরকার বিভিন্ন ধরনের পদক্ষেপ করলেও স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় বেশ কিছু ফাঁকফোকর থেকে গিয়েছে। রেশন, খাদ্য দফতরের কাজকর্ম নিয়ে ক্ষোভ-বিক্ষোভ বিস্তর। দুর্নীতির ঘটনায় কিছু রেশন ডিলারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

Advertisement

এই পরিস্থিতিতে জন-অসন্তোষের মোকাবিলায় সমাজমাধ্যমের সাহায্য নেওয়ার কথা ভেবেছে নবান্ন। সরকারি কল্যাণ উদ্যোগের কতটা মানুষের কাছে পৌঁছচ্ছে, তা খতিয়ে দেখার পাশাপাশি কোথায় কতটা ঘাটতি থেকে যাচ্ছে, তা-ও চিহ্নিত করা হবে। সেই অনুযায়ী দ্রুত পরিকল্পনা স্থির করে পদক্ষেপ করাই নতুন ব্যবস্থার লক্ষ্য। যে-সব দফতরের মাধ্যমে সরকারি কাজকর্মের সঙ্গে মানুষের সরাসরি পরিচয় ঘটে, মূলত তাদেরই এই প্রকল্পের আওতায় আনা হচ্ছে। সরকারি কাজ নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে বিরূপ প্রতিক্রিয়া হলে সরকারকে তার হদিস দেবে বিশেষজ্ঞ সংস্থা। কয়েকটি সরকারি টুইটার হ্যান্ডল ও ফেসবুকের মাধ্যমে বিভিন্ন দফতরের কাজকর্ম এবং পরিষেবা নিয়ে তথ্য দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে। ছোট ছোট ভিডিয়ো-বার্তাও থাকছে সেখানে। সরকারের কাজকর্মের তথ্য ধাপে ধাপে নেট-দুনিয়ায় বেশি সংখ্যক মানুষকে পৌঁছে দেওয়ার পাশাপাশি সমস্যা ঠিক কোথায়, লক্ষ রাখা হচ্ছে সেই দিকেও। নবান্ন সূত্রের খবর, বেশির ভাগ মানুষ স্মার্টফোনের সূত্রে সমাজমাধ্যমে যুক্ত। সেখানেই বিভিন্ন বিষয়ে উঠে আসা মতামতকে বিশেষ গুরুত্ব দিতে চাইছে সরকার।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement