ফাইল চিত্র।
রাজ্যে ডেঙ্গি, ম্যালেরিয়া আক্রান্তের সংখ্যা কেন বাড়ছে তা নিয়ে বৃহস্পতিবার সমস্ত পুরসভা এবং স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক করলেন রাজ্য নগরোন্নয়ন সংস্থার আধিকারিকরা। কারণ খতিয়ে দেখতে গিয়ে বেশ কয়েকটি খামতি তাঁদের নজরে এসেছে। সেগুলি তুলে ধরেন নগরোন্নয়ন সংস্থার আধিকারিকরা।
কেন নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না, কোথায় কোথায় খামতি রয়েছে এবং এই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কী কী করণীয় তারও একটি দিশা দেখিয়েছে নগরোন্নয়ন সংস্থা।
রাজ্যে করোনার সংক্রমণ কমে এলেও নতুন করে ভয় ধরাচ্ছে ডেঙ্গি, ম্যালেরিয়া। এগুলি যাতে ভয়াবহ রূপ রূপ নিতে না পারে তাই গোড়াতেই তার রাশ টেনে ধরতে স্থানীয় প্রশাসন এবং পুরসভাগুলিকে নিয়ে বৈঠক করল নগরোন্নয়ন সংস্থা। বেশ কয়েকটি জায়গায় খামতির পাশাপাশি স্থানীয় প্রশাসন, পুরসভা এবং স্বাস্থ্য দফতরের মধ্যে যে সমন্বয়ের অভাব রয়েছে সেটাই উঠে এসেছে এই বৈঠকে।
বৈঠকে যে বিষয়গুলি তুলে ধরেছে নগরোন্নয়ন সংস্থা তা হল—
ডেঙ্গি এবং ম্যালেরিয়ার ‘হটস্পট’ হিসেবে চিহ্নিত জায়গাগুলিতে স্থানীয় প্রশাসন ঠিকমতো কাজ করেনি। শুধু তাই নয়, ওয়েস্ট বেঙ্গল মেডিক্যাল সার্ভিস কর্পোরেশন লিমিটে়ড মশার লার্ভা নষ্ট করার জন্য যে ওষুধ সরবরাহ করেছিল সেগুলি ঠিকমতো ব্যবহার করা হয়নি বলেও অভিযোগ উঠেছে। দক্ষিণ দমদমের ১০টি ওয়ার্ড বেশ ঝুঁকিপূর্ণ বলেও চিহ্নিত করা হয়েছে।
এ ছাড়া বিধাননগর পুরসভার অন্তর্গত ফাঁকা জায়গাগুলিতে আবর্জনা ডাঁই করে রাখার অভিযোগ উঠেছে। এই কাজের সঙ্গে জড়িত বেশ কিছু আধিকারিকের বিরুদ্ধে ঠিকমতো কাজ না করা, এবং সময়মতো রিপোর্ট না করার অভিযোগ উঠেছে। ডেঙ্গি এবং ম্যালেরিয়ার জন্য যে নির্দেশিকা তৈরি হয়েছে সেটা পালনেও স্থানীয় প্রশাসনগুলির মধ্যে খামতি রয়ে গিয়েছে বলেও নগরোন্নয়ন সংস্থার মত।