বসে যাওয়া সরকারি বাসগুলিকে পিপিপি মডেলে চালাতে চায় পরিবহণ দফতর। ফাইল চিত্র।
পরিবহণ দফতরের বিভিন্ন ডিপোয় পড়ে থাকা সরকারি বাসের সংখ্যা নেহাত কম নয়। সরকারি ডিপোয় পড়ে থেকে থেকে নষ্ট হচ্ছে সেই সব বাস। এ বার পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ (পিপিপি) মডেলে সেই বাসগুলি চালানোর বিষয়ে বড়সড় সিদ্ধান্ত নিয়েছে পরিবহণ দফতর। পরিবহণমন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী বলেছেন, "আগামী দিনে পিপিপি মডেলে সরকারি বাস চালানো হবে। আশা করি, শীঘ্রই এ বিষয়ে পরিবহণ দফতর সদর্থক পদক্ষেপ নেবে।’’ দফতরের এই উদ্যোগকে সরকারি গণপরিবহণের বেসরকারিকরণের পথে হাঁটার প্রথম পদক্ষেপ হিসেবেই দেখা হচ্ছে। বাম জমানায় পিপিপি মডেলে দক্ষিণবঙ্গ পরিবহণ নিগম, কলকাতা স্টেট ট্রান্সপোর্ট কর্পোরেশন, ওয়েস্ট বেঙ্গল ট্রান্সপোর্ট ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশনের কিছু বাস ফ্র্যানচাইজির মাধ্যমে চালানো হয়েছিল। কিন্তু তাতে সাফল্যের মুখ দেখেনি পরিবহণ দফতর।
কিন্তু এ বার মূলত ওয়েস্ট বেঙ্গল ট্রান্সপোর্ট কর্পোরেশনের পড়ে থাকা বাসগুলিকেই বেসরকারি হাতে তুলে দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। পুজোর পরেই প্রথম পর্যায়ে ১০০টি বাস বেসরকারিকরণ করে চালানো হবে। তার পরে আরও ১২০টি বাসকে এ ভাবে রাস্তায় নামানো হবে। পরিবহণ দফতর সূত্রে খবর, এই ভাবে ধাপে ধাপে ৪০০টি সরকারি বাসকে চালানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
পরিবহণ দফতর সূত্রে খবর, সরকারি ডিপোয় পড়ে থাকা বাসগুলি ফের রাস্তায় নামাতে প্রাথমিক ভাবে বেসরকারি বাস মালিকদের তরফে রাজ্যকে কয়েকটি শর্ত দেওয়া হয়েছে। প্রথমত, গাড়িগুলি ইউরো-চার পর্যায়ের হতে হবে। দ্বিতীয় যে রুটে ওই বাস চলবে, সেই পথে সরকারি বাস চলতে পারবে না। তৃতীয়ত, ভাড়া বাবদ নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ মাসিক ভাবে পরিবহণ দফতরের হাতে তুলে দিতে হবে। চতুর্থত, বেসরকারি চালক ও কন্ডাক্টররা বাসের পরিচালনার দায়িত্বে থাকবেন। পঞ্চমত, মেরামতি, গাড়ির যাবতীয় কাগজপত্র নবীকরণ ও ড্রাইভার-কন্ডাক্টরদের বেতন প্রদান করবে বেসরকারি পক্ষ। সঙ্গে আরও বেশ কিছু শর্ত আরোপ করা হয়েছে। এ প্রসঙ্গে সিটি সাবারবান বাস সার্ভিসেসের সাধারণ সম্পাদক টিটো সাহা বলেন, ‘‘প্রাথমিক ভাবে আমাদের কাছে প্রস্তাব দিয়েছে পরিবহণ দফতর। আমরাও পাল্টা কিছু শর্ত দিয়েছি। সেই শর্তগুলি মানা হলে তবেই আমরা বাস চালাতে রাজি হব।’’