যাদের উদ্যোগ, তারাই এখন নিশ্চেষ্ট!
রাজ্যের নামের জন্য দিল্লিতে জাতীয় স্তরের বৈঠকে বলার সুযোগ পেতে দেরি হয়। তাই ইংরেজি নাম ‘ওয়েস্ট বেঙ্গল’ তুলে দিয়ে শুধু পশ্চিমবঙ্গ করার জন্য বিধানসভায় প্রস্তাব পাশ করেছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। তার পরে সেই নাম পরিবর্তনের বাকি প্রক্রিয়ায় কেন্দ্রীয় সরকার কেন গড়িমসি করছে, তা নিয়ে দিল্লিকে তুলোধোনা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তার জেরেই ফের বিধানসভায় বিল এনে রাজ্যের নামকরণ হয়েছিল ‘বাংলা’। অথচ সেই নামকরণ কার্যকর করতে কেন্দ্রীয় স্তরে আর কোনও তৎপরতা নেই তৃণমূলের!
গত বছর বিধানসভায় রাজ্যের নাম বদল নিয়ে বিল পাশ হলেও তা এখনও কেন্দ্রের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকে ফাইলবন্দি। পশ্চিমবঙ্গের নাম বদলের বাকি প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করতে তার পর থেকে সংসদে বিল পাশের জন্য কেন্দ্রের কাছে আলাদা ভাবে দলের তরফে আর কোনও দরবার করা হয়নি বলেই তৃণমূল সূত্রের খবর। কেন্দ্র যাতে দ্রুত বিল এনে এ রাজ্যের নাম বদল সেরে ফেলে, তার জন্য চাপ সৃষ্টি করার লক্ষ্যে দলে কোনও আলোচনাও হয়নি! লোকসভা বা রাজ্যসভা, সংসদের কোনও কক্ষেই এখনও পর্যন্ত বিষয়টি নিয়ে কেন্দ্রের দৃষ্টি আকর্ষণও করেননি তৃণমূলের সাংসদদের কেউ।
রাজ্যের আইনসভায় নাম বদলের প্রস্তাব বিল আকারে পাশ হওয়ার পরে রীতিমাফিক সংবিধানের ৩ নম্বর ধারা অনুযায়ী তা চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়ার এক্তিয়ার সংসদেরই। কিন্তু সংসদে এ রাজ্যের নাম বদল নিয়ে বিল পেশের ব্যাপারে এখনও ইঙ্গিত নেই বলে তৃণমূল সাংসদেরা জানাচ্ছেন। কিন্তু তাঁরা কেন আর এই নিয়ে দরবার করলেন না দিল্লিতে? দলের মুখ্য জাতীয় মুখপাত্র ডেরেক ও’ব্রায়েন এই নিয়ে মন্তব্যই করতে চাননি। কারণ, বিষয়টি তাঁর জানাই নেই! লোকসভায় তৃণমূলের বর্ষীয়ান দলনেতা সৌগত রায়ের বক্তব্য, ‘‘রাজ্য সরকারের তরফেই তো নাম বদলের প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকে! দলের তরফে আলাদা ভাবে কেন্দ্রের কাছে দরবার করার কথা তো হয়নি।’’ এমনিতেই রাজ্যের নাম বদলের বিষয়ে বিল পাশ করতে সময় লাগে সংসদের। এ ক্ষেত্রেও তাই দেরি হচ্ছে বলে তৃণমূল সাংসদদের মত।