ছবি পিটিআই।
করোনা পরিস্থিতির মধ্যেই স্যানিটাইজারে ১৮% জিএসটি বসানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। ওই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের পাশাপাশি রাজ্যের কাছে তাদের অংশের জিএসটি ছাড় দেওয়ার দাবি তুলল সিপিএম। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে শুক্রবার এই দাবি জানিয়ে চিঠি দিলেন বাম পরিষদীয় নেতা সুজন চক্রবর্তী। চিঠির প্রতিলিপি দেওয়া হয়েছে মুখ্যসচিবকেও। এই বিষয়ে চেষ্টা করেও রাজ্যের অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্রের বক্তব্য অবশ্য জানা যায়নি। তৃণমূলের তরফেও কেউ মুখ খোলেননি।
মুখ্যমন্ত্রীকে পাঠানো চিঠিতে সুজনবাবু লিখেছেন, ‘করোনা সংক্রমণের পরিপ্রেক্ষিতে, যখন স্যানিটাইজারের ব্যবহার মানুষের নিত্যসঙ্গী হতে চলেছে, তখন স্যানিটাইজারের উপরে ১৮% জিএসটি বসানো একটি জন-বিরোধী এবং নির্মম সিদ্ধান্ত। কোভিড সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াইকে এটা দুর্বল করতে বাধ্য। বরং, কোভিড সংক্রমণের বিপদকে কেন্দ্রীয় সরকার ঘুরপথে অর্থসংগ্রহের সুযোগ হিসেবে যে ব্যবহার করছে, তা এতে স্পষ্ট হয়’। সুজনবাবু এ দিন বলেন, ‘‘কেন্দ্রীয় সরকার লুট চালাচ্ছে! এই সিদ্ধান্ত বাতিল করতে হবে। কেন্দ্র বলছে, তারা নাকি জিএসটি কাউন্সিলের মত নিয়ে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সেখানে আমাদের রাজ্যের অর্থমন্ত্রী কি মত দিলেন? মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আবেদন, জিএসটি-র মধ্যে রাজ্যের ৯% অবিলম্বে ছাড় দেওয়ার ঘোষণা হোক। আর বাকিটাও প্রত্যাহারের জন্য ঐক্যবদ্ধ দাবি তোলা হোক।’’
স্যানিটাইজার বা মাস্কের উপরে কর চাপানোর চেষ্টা প্রতিহত করতে হবে বলে রাজ্যে সর্বদল বৈঠকেই দাবি করেছিলেন বাম নেতারা। সুজনবাবু এ দিন ফের দাবি জানিয়েছেন, মাস্ক, স্যানিটাইজার এবং সাবান রেশনে সরবরাহ করার ব্যবস্থা হোক। করোনা আবহে স্যানিটাইজারে জিএসটি বসানোর ‘ভয়ানক ও নির্বোধ কারবার’ প্রত্যাহারের দাবিতে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনকে চিঠি দিয়েছেন কংগ্রেস সাংসদ প্রদীপ ভট্টাচার্যও।