Exam

রাজ্যে অষ্টম শুভঙ্করের স্বপ্ন পদার্থবিজ্ঞানী হওয়া

বুধবার সকাল থেকে বাড়িতেই ছিল শুভঙ্কর। সকালে টিভিতে সন্তানের নাম শুনে প্রথমে বিশ্বাস করতে পারেননি মাইতি পরিবারের সদস্যরা। পরে স্কুলের শিক্ষকরা ফোন করে খবরটা জানান। ততক্ষণে বাড়িতে পৌঁছে গিয়েছে সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিরা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ঘাটাল শেষ আপডেট: ১৬ জুলাই ২০২০ ০৭:০৩
Share:

শুভঙ্কর মাইতি। নিজস্ব চিত্র

পড়াশোনার কোনও ধরা-বাঁধা সময় ছিল না তার। মাধ্যমিকের রাজ্য মেধা তালিকায় অষ্টম স্থান পেয়ে সন্তুষ্ট সে। শুধু একটাই আক্ষেপ রয়ে গেল দাসপুর বিবেকানন্দ হাইস্কুলের ছাত্র শুভঙ্কর মাইতির। তার কথায়, “আজকের দিনটায় স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সঙ্গে দেখা হল না। বন্ধুদের সঙ্গেও কথা হল না। এই দিন তো আর কখনও ফিরে পাব না!”

Advertisement

বুধবার সকাল থেকে বাড়িতেই ছিল শুভঙ্কর। সকালে টিভিতে সন্তানের নাম শুনে প্রথমে বিশ্বাস করতে পারেননি মাইতি পরিবারের সদস্যরা। পরে স্কুলের শিক্ষকরা ফোন করে খবরটা জানান। ততক্ষণে বাড়িতে পৌঁছে গিয়েছে সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিরা। সন্তানের সাফল্যে খুশি মাইতি পরিবারের সকলে। করোনা পরিস্থিতিতে সরকারি নিয়ম মেনেই এদিন সকালে বাড়িতে সকলকে মিষ্টিমুখ করান শুভঙ্করের বাবা-মা। শুভঙ্করের বাবা সুখেন্দু মাইতি এবং মা রিতা— দু’জনই বলছিলেন, “ছেলে ভাল নম্বর পাবে জানতাম। তবে রাজ্যে অষ্টম স্থান পাবে, ভাবতে পারিনি।’’

শুভঙ্কর পঞ্চম শ্রেণি থেকেই দাসপুর বিবেকানন্দ হাইস্কুলের ছাত্র। টেস্ট পরীক্ষায় সে পেয়েছিল ৬৭০ এবং মাধ্যমিকে পেয়েছে ৬৮৫। বাংলায় ৯৮, ইংরাজিতে ৯৬, অঙ্কে ১০০, পদার্থ বিজ্ঞানে ৯৮, জীবন বিজ্ঞানে ৯৭, ইতিহাসে ৯৬ এবং ভূগোলে ১০০ পেয়েছে শুভঙ্কর। শুভঙ্করের বাড়ি ডেবরা থানার রহিমপুরে। বাবা সুখেন্দু মাইতি দাসপুরের কামালপুর অঞ্চলের আয়ুর্বেদের চিকিৎসক। মা রিতা মণ্ডল মাইতি ডেবরা গ্রামীণ হাসপাতালের নার্স। বাবা-মায়ের একমাত্র সন্তান শুভঙ্কর দাসপুরেই থাকত। তবে লকডাউনে সে গ্রামের বাড়িতে চলে যায়। বড় হয়ে কী হতে চাও? শুভঙ্করের উত্তর, “আমি বিজ্ঞানী হব। আমার প্রিয় বিষয় পদার্থ বিজ্ঞান নিয়ে গবেষণা করতে চাই।” আপাতত নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশনে একাদশ শ্রেণিতে বিজ্ঞান বিভাগে ভর্তি হবে সে।

Advertisement

দিনে ছ’সাত ঘণ্টা পড়ার পাশাপাশি সে গান গাইতে এবং শোনাতেও ভালবাসে। ছবি আঁকাও তার অন্যতম প্রিয় বিষয়। স্কুলের ছাত্রের এমন সাফল্যে খুশি দাসপুর বিবেকানন্দ হাইস্কুল কর্তৃপক্ষ। করোনা পরিস্থিতিতিতে আপাতত স্কুল বন্ধ। প্রশাসনের শুভেচ্ছা-বার্তা স্কুলের শিক্ষকরা শুভঙ্করের ডেবরার বাড়িতে গিয়ে পৌঁছে দেন। দাসপুর বিবেকানন্দ হাইস্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক জয়ন্তকুমার ঘোষ বলেন, “ও স্কুলের গর্ব। বড় হয়ে মস্ত বড় বিজ্ঞানী হবে শুভঙ্কর।”

উচ্চমাধ্যমিকের ফলাফল সম্পর্কিত যাবতীয় আপডেট পেতে রেজিস্টার করুন এখানে |

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement