গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
গল্প শুনতে ভালবাসেন, এমন মানুষের সংখ্যা নেহাত কম নয়। গল্প শোনার প্রবণতাকেই কাজে লাগিয়ে এ বার মানুষের আরও কাছে পৌঁছনোর জন্য নয়া পদক্ষেপ করতে চলেছে রাজ্য পুলিশ। ‘অপরাধমূলক’ কাজের খবরাখবরের পাশাপাশি, রাজ্য পুলিশের সমাজমাধ্যমের পেজে শোনা যাবে ভিন্ন স্বাদের গল্প।
বৃহস্পতিবার রাতে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ সমাজমাধ্যমে পোস্ট করে এই নতুন উদ্যোগের কথা জানায়। অবসর সময়ে কিছু গল্প শোনার জন্য ইউটিউব বা অন্যান্য অ্যাপে ঢুঁ মারেন মানুষ। রহস্য, রোমাঞ্চ কিংবা ভূতের গল্প, কারও কারও আবার পছন্দ ঐতিহাসিক কাহিনি। বাংলার মানুষের সব রকম ‘চাহিদা’র কথা মাথায় রেখেই রাজ্য পুলিশ নিজেদের সমাজমাধ্যমের পেজে গল্পের ‘ঠেক’ বসাবে।
রাজ্য পুলিশের পেজে সাধারণত থাকে ‘অপরাধদমন সাফল্য’ কিংবা ‘সচেতনমূলক বার্তা’র কথা। কিন্তু ‘সপ্তাহে এক দিন একটু স্বাদবদল হলে মন্দ কী?’ বাংলার ঐতিহ্য, বাংলার সংস্কৃতি, বাংলার ইতিহাসের গল্পই থাকবে রাজ্য পুলিশের পেজে। শুধু তা-ই নয়, বাঙালির প্রিয় ‘ফেলুদা’, ‘ব্যোমকেশ’ও শোনাবে পুলিশ।
বাংলার এমন গল্প আছে যা নতুন প্রজন্মের কাছে অজানা। দাদু-দিদিমা কিংবা বাবা-মায়ের কাছে ‘নবীন ময়রা’র নাম শুনেছেন অনেকেই। কিন্তু তাঁর গল্প অজানাই। আবার ‘নকুড়ের জলভরা’ সন্দেশের ‘আবিষ্কার’ কী ভাবে হল তাও জানার কৌতূহল রয়েছে বাঙালির মধ্যে। সেই সব ভিন্ন স্বাদের গল্পের আসর বসবে রাজ্য পুলিশের সমাজমাধ্যমের পেজে।
রাজ্য পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, ‘অন্যান্য পোস্টের পাশাপাশি, এখন থেকে আমরা এই পেজে ভাগ করে নেব বাংলার ঐতিহ্য, বাংলার সংস্কৃতি, বাংলার ইতিহাসের কিছু টুকরো ঝলক। যার কিছুটা আমাদের অনেকেরই জানা, কিছুটা হয়তো বা অজানাও।’ প্রতি বৃহস্পতিবার এই গল্প শোনা যাবে। ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হবে রাজ্য পুলিশের এই নতুন অনুষ্ঠান। সকলকে সঙ্গে নিয়েই এ বার নতুন ভাবে পথ চলা শুরু করতে চলেছে তারা। শোনা যাবে ‘বিষ্যুদবারের গপ্পো’। রাজ্য পুলিশের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন বাংলার মানুষ। পুলিশ সূত্রে খবর, সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছনো যাবে।