শনিবার নিউটাউনে সুকান্ত মজুমদারকে বাধা পুলিশের। নিজস্ব চিত্র
বিক্ষোভ-অবরোধের জেরে উত্তপ্ত হাওড়ায় যেতে চেয়েছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। কিন্তু রওনা হওয়ার আগেই তাঁকে আটকে দেয় পুলিশ। বিজেপি কর্মীরা তাঁকে বাড়ি থেকে বার করে আনলেও পুলিশের বাধা টপকে সুকান্ত এক পা-ও এগোতে পারেননি। অশান্তি বন্ধ করতে প্রশাসন যে কঠোর মনোভাব নেবে, তা আগেই জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সুকান্তের কর্মসূচিতে বাধা দিয়ে সেই কঠোর মনোভাবই দেখাল পুলিশ। বিধাননগর কমিশনারেটের পুলিশকর্মীদের সঙ্গে ধস্তাধস্তি শুরু হয় বিজেপি কর্মী এবং সুকান্তের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের। শেষ পর্যন্ত দুপুর সওয়া ২টো নাগাদ সুকান্ত জোর করেই হাওড়ার উদ্দেশে রওনা দেন।
সুকান্ত ঠিক করেছিলেন, বেলা ১১টা নাগাদ তাঁর নিউ টাউনের বাসভবন থেকে উলুবেড়িয়ার উদ্দেশে রওনা দেবেন। কিন্তু তাঁর আগেই পুলিশ এসে জানায়, তাঁকে যেতে দেওয়া হবে না। বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেটের ডিসি-র বাড়ির সামনে মোতায়েন থাকে পুলিশ বাহিনী। সুকান্তের দাবি, তাঁকে নিয়ম ভেঙে ‘গৃহবন্দি’ করা হয়েছে। তিনি বলেন, “আমি হাওড়া যেতে চাই। পুলিশ কোনও ভাবেই অনুমতি দিচ্ছে না। পুলিশ দলদাসের মতো ব্যবহার করছে। পুলিশ কোনও কারণ দেখাতে পারেনি। হাওড়াতে ১৪৪ ধারা জারি থাকায় যেতে দেবে না বলেছে। কিন্তু, হাওড়া থেকে আমার বাড়ি অনেক দূর। ১১টার সময় যখন আমি বাড়ি থেকে বেরোতে গিয়েছিলাম, সেই সময় আমাকে আটকে দেওয়া হয়। কেন আমাকে গৃহবন্দি করে রাখা হল বুঝতে পারছি না। পুলিশ কোনও আইনি কাগজ দেখাতে পারেনি।” সুকান্ত আরও জানিয়েছেন যে, তিনি হাওড়া যাবেন না জানিয়ে মুচলেকা দিতে বলে পুলিশ। কিন্তু তিনি তাতে রাজি হননি। সুকান্তের কথায়, ‘‘আইনজীবীকে বলেছি, আইনি ব্যবস্থা নিতে। আমি ওকালতনামায় সই করে দিয়েছি।’’
শুধু তাঁকে আটকে দেওয়াই নয়, হাওড়ার পরিস্থিতি নিয়েও আক্রমণাত্মক সুকান্ত। তিনি বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী তিন দিন ধরে চুপ করে বসে রয়েছেন। কোনও পদক্ষেপ করেননি। প্রশাসনিক দায়িত্ব পালন করতে ব্যর্থ হয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি প্রথমেই পদক্ষেপ করলে এই পরিস্থিতি তৈরি হত না। ঝাড়খণ্ডেও প্রতিবাদ হয়েছে। কিন্তু, পুলিশ ব্যবস্থা নিয়েছে।’’