—প্রতীকী চিত্র।
কলকাতা পুলিশের মতো এ বার সন্ত্রাস দমনে বিশেষ টাস্কফোর্স (এসটিএফ) পেল রাজ্য পুলিশও। জঙ্গিদের বাড়বাড়ন্ত ঠেকাতে এবং সংগঠিত অপরাধ রুখতে কাজ করবে এই বিশেষ টাস্কফোর্স। তাদের নেতৃত্বে রয়েছেন অজয় নন্দ। চাকরিজীবনে পশ্চিম মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার ছিলেন তিনি। মাওবাদী দমনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে তাঁর। আসানসোল-দুর্গাপুরের কমিশনার হিসাবেও কাজ করেছেন একসময়। ছিলেন কলকাতা পুলিশেও। এ বার পশ্চিমবঙ্গ এসটিএফ-এর প্রথম আইজি নিযুক্ত হলেন তিনি। ডিআইজি নিযুক্ত হয়েছেন নিশাত পারভেজ। তিনি দীর্ঘদিন সিআইডি-তে কাজ করেছেন। এবং প্রথম পুলিশ সুপার নিযুক্ত হয়েছেন সুনীল কুমার যাদব। এই এসটিএফের সদর দফতর হবে রিপনস্ট্রিটে।
এর পাশাপাশি দীর্ঘ দিন ধরে সীমান্ত নিরাপত্তাও জোরদার করতে চাইছিল রাজ্য সরকার। সোমবার সেই সংক্রান্ত অতিরিক্ত দায়িত্ব দেওয়া হল সিআইএফ-এর এডিজি সিদ্ধিনাথ গুপ্তকে।
গোপন সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজ্য এসটিএফ গঠিত হলেও, কলকাতা পুলিশের স্পেশাল টাস্কফোর্সের ইউনিটটিও থেকে যাচ্ছে। শুধু মাত্র তাদের নাম পরিবর্তন হবে। আগের মতোই মাদক এবং সন্ত্রাস দমন সংক্রান্ত কাজ সামলাবে ওই ইউনিট। তবে এসটিএফ কাজ করবে আরও বড় আকারে।
আরও পড়ুন: জয়ের বেফাঁস আক্রমণ, দিলীপের ‘না দেওয়া’ সাক্ষাৎকার! তোলপাড় শুরু বিজেপিতে
এ ছাড়াও বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ রদবদল ঘটানো হয়েছে রাজ্য পুলিশ প্রশাসনের অন্দরে। এ দিন নবান্নের তরফে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। তাতে দেখা গিয়েছে, একদা পার্কস্ট্রিট গণধর্ষণ কাণ্ডের দায়িত্বে থাকা কলকাতা পুলিশের প্রাক্তন গোয়েন্দাপ্রধান দময়ন্তী সেনকে ফের লালবাজারে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। পার্কস্ট্রিট কাণ্ডে তাঁর ভূমিকা নিয়ে বিতর্ক তৈরি হওয়ায়, গুরুত্বহীন পদে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল তাঁকে। সেখান থেকে তাঁকে কলকাতা পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (৩) পদে তুলে আনা হয়েছে।
আরও পড়ুন: গুঁড়িয়ে দিতে হবে ১৬টি বাড়ি! ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সংখ্যা ছুঁতে পারে ১৫০
২০০৮ সালে কলকাতা পুলিশের বিশেষ টাস্ক ফোর্সটি গঠন করেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। সেইসময় এসটিএফ-এর দায়িত্বে আনা হয় রাজীব কুমারকে। তাঁর নেতৃত্বে সন্ত্রাসদমন, মাওবাদী দমন-সহ একাধিক বিষয়ে সাফল্যের সঙ্গে কাজ করে এই এসটিএফ। সাম্প্রতিক কালে বুদ্ধগয়া বিস্ফোরণের পর্দা ফাঁস তাদের সবচেয়ে বড় সাফল্য। ২০০৯ সালে তারাই গ্রেফতার করে ছত্রধর মাহাতোকে।