আসানসোল-রানিগঞ্জে অশান্তি শুরুর চারদিনের মাথায় র্যাফের তিনটি নতুন ব্যাটেলিয়ন তৈরির চূড়ান্ত ছাড়পত্র দিয়েছে রাজ্য সরকার।
২৫ মার্চ রাম নবমীর দিন থেকেই অশান্ত হয়ে উঠেছিল আসানসোল-রানিগঞ্জ এলাকা। নবান্নের কর্তাদের অনেকেই মনে করেন, জেলা পুলিশ পরিস্থিতি সামাল দিতে না পারার কারণেই পরিস্থিতি জটিল হয়ে উঠেছিল। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে পদস্থ কর্তাদের নেতৃত্বে কলকাতা পুলিশের বাহিনী পাঠাতে হয়েছিল সেখানে। তার পর থেকেই বিকল্প ভাবনা জোরদার হয়ে ওঠে প্রশাসনে। রাজ্য আগেই স্থির করেছিল, র্যাফের তিনটি ব্যাটেলিয়ন তৈরি করা হবে। যাদের বিশেষ কারণেই ব্যবহার করা হবে। সূত্রের খবর, গত ২৯ মার্চ ওই ব্যাটেলিয়নগুলির সদর দফতর, লোক নিয়োগ-সহ যাবতীয় পদক্ষেপের চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে নবান্ন।
দুর্গাপুর, ব্যারাকপুর এবং শিলিগুড়িতে হবে একটি করে ব্যাটেলিয়নের সদর দফতর। ব্যাটেলিয়নগুলিতে নিয়োগের জন্য তিন হাজারের কিছু বেশি পদের অনুমোদন দিয়েছে স্বরাষ্ট্র দফতর। আইনশৃঙ্খলার তেমন বড় সমস্যা হলে নবগঠিত বাহিনী প্রথম থেকেই সক্রিয় হবে। তাই সদর দফতরগুলির স্থান নির্বাচন হিসেব কষে করা হয়েছে বলে মনে করছেন প্রশাসনের অনেকেই।
এ বার নিয়োগ-প্রশিক্ষণ-সহ ব্যাটেলিয়ন গঠনের চূড়ান্ত প্রক্রিয়া চালাতে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে রাজ্য পুলিশের ডিজি’কে। পুলিশকর্তাদের কেউ কেউ জানাচ্ছেন, বড় ধরনের আইনশৃঙ্খলা সমস্যা মোকাবিলার মতো উপযুক্ত প্রশিক্ষণ জেলা পুলিশের সেভাবে থাকে না। আসানসোল-রানিগঞ্জের পরিস্থিতি সেই ঘাটতিকে আরও একবার প্রকাশ্যে এনে দিয়েছে। অতীতে বসিরহাটের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সামলাতেও কলকাতা পুলিশের বাহিনী পাঠাতে হয়েছিল।