তরুণ রবিদাস
লোহার রডের ৬ ইঞ্চি লম্বা টুকরো। দু’টি চা চামচের অংশ এবং লম্বা একটি সুচ। সবই ধাতব। অস্ত্রোপচার করে এক রোগীর পেট থেকে এই সব বের করলেন চিকিৎসকেরা। শুক্রবারের এই ঘটনায় হইচই মালদহ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের চিকিৎসক মহলে।
শিশুর গলায় আটকানো জ্যান্ত কই মাছ, লকেট পর্যন্ত অস্ত্রোপচারে বের করার নজির রয়েছে এই হাসপাতালে। তবে দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাটের মঙ্গলপুরের বাসিন্দা তরুণ রবিদাসের পেট থেকে যা পাওয়া গেল, তা অন্তত এই হাসপাতালে নজিরবিহীন বলে দাবি চিকিৎসকদের।
তরুণ রাজমিস্ত্রি। তাঁর দাদা বরুণ রবিদাসের দাবি, ‘‘ভাই আংশিক মানসিক ভারসাম্যহীন। কখন লোহার রড, চামচ খেয়ে ফেলেছে জানি না।’’ তিনিই জানান, মাস খানেক ধরে তরুণের পেটে যন্ত্রণা হত। এর মধ্যে মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুরে দিদির বাড়িতে বেড়াতে যান তিনি। মঙ্গলবার পেটে যন্ত্রণা শুরু হয়। সেই সঙ্গে রক্তবমি। রাতেই তাঁকে মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
পেট থেকে মিলেছে এই চামচ ও লোহার টুকরো।
সেখানে তাঁর পেটে এক্স-রে করা হয়। তার পরে শল্যচিকিৎসক অরিজিৎ মুখোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে গঠিত হয় পাঁচ জনের মেডিক্যাল বোর্ড। এ দিন বেলা সাড়ে ১১টায় শুরু হয় তরুণের অস্ত্রোপচার। উদ্ধার হয় ধাতুর টুকরোগুলো। অরিজিৎবাবু বলেন, “কিছু ছিল পাকস্থলিতে। একটি বৃহদন্ত্রে।” হাসপাতালের সুপার অমিতকুমার দাঁ বলেন, ‘‘ধাতব টুকরোগুলো হজম হয়নি। বড় বলে শরীর থেকে বেরিয়েও যায়নি। ওই যুবক খুবই কষ্ট পেয়েছেন।’’
—নিজস্ব চিত্র।