প্রতীকী ছবি।
উচ্চ মাধ্যমিকের ইংরেজি পরীক্ষা তত ক্ষণে শুরু হয়ে গিয়েছে। হঠাৎ প্রবল শ্বাসকষ্টে আক্রান্ত হলেন এক ছাত্রী। অবস্থা ক্রমেই সঙ্গিন হয়ে পড়তে থাকে। পরীক্ষা চালিয়ে যাওয়া দূরের কথা, কার্যত জীবন নিয়ে টানাটানি পড়ে যায়। শেষরক্ষা হয় পরীক্ষাকর্মী এবং হাসপাতালের চিকিৎসকদের তৎপরতায়। অঞ্জু মণ্ডল নামে বারাসত গার্লস স্কুলে অসুস্থ হয়ে পড়া ওই ছাত্রী বৃহস্পতিবার পরীক্ষা শেষ করেন হাসপাতালে বসে।
জেলা শিক্ষা দফতর সূত্রের খবর, অঞ্জুর বারাসতের আশুতোষ পল্লি হাইস্কুলের ছাত্রী। পরীক্ষা শুরুর পরে তিনি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ায় সেন্টার ইনচার্জ অখিল মণ্ডল তাঁকে বারাসত হাসপাতালে নিয়ে যান। প্রাথমিক ভাবে চিকিৎসকেরা জানান, শরীরে জলের অভাবেই মেয়েটির এই অবস্থা। তাঁকে তড়িঘড়ি জরুরি বিভাগে ভর্তি করে চিকিৎসা চালানো হয়। বিষয়টি জানানো হয় জেলা স্কুল পরিদর্শক শুভজিৎ চট্টোপাধ্যায় এবং জেলার উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার যুগ্ম আহ্বায়ক তন্দ্রা রায়কে। তাঁরাও হাসপাতালে পৌঁছে যান।
তন্দ্রাদেবী বলেন, ‘‘পরীক্ষা কেন্দ্রের হাজিরা খাতায় মেয়েটির সই হয়ে গিয়েছিল। এই পরিস্থিতিতে সে যাতে পরীক্ষা শেষ করতে পারে, সেই ব্যবস্থা করা একান্ত জরুরি ছিল।’’ তাই হাসপাতালেই পরীক্ষার বন্দোবস্ত করা হয়। ধাতস্থ হয়ে পরীক্ষা দেন অঞ্জু। অসুস্থতার দরুন অনেকটা সময় নষ্ট হয়ে যাওয়ায় উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের নিয়ম অনুযায়ী তাঁকে বাড়তি সময় দেওয়া হয়। ‘‘শেষ পর্যন্ত ও যে পরীক্ষা দিতে পেরেছে, এটাই খুশির ব্যাপার,’’ বলছেন তন্দ্রাদেবী।
জেলা প্রশাসন সূত্রের খবর, বনগাঁ ও বসিরহাটের একাধিক পরীক্ষা কেন্দ্রেও পড়ুয়াদের অসুস্থ হয়ে পড়ার ঘটনা ঘটেছে। সর্বত্রই সুষ্ঠু ভাবে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া গিয়েছে। এক সদ্যপ্রসূতি-সহ উত্তর ২৪ পরগনার অন্তত দু’জন হাসপাতাল থেকে পরীক্ষা দিচ্ছেন। শিক্ষা দফতরের কর্তারা জানান, পরীক্ষার আগে অসুস্থ হয়ে পড়লে হাসপাতাল থেকে পরীক্ষা দেওয়ার আয়োজন করা যায়। কিন্তু আচমকা অসুস্থ হয়ে প়ড়লে দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে হয়। এ ক্ষেত্রে উত্তর ২৪ পরগনায় পরীক্ষার দায়িত্বে থাকা আধিকারিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সমন্বয়ের ফলেই পরীক্ষার্থীদের বছর নষ্ট হয়নি।