তিন বছর আগে মৃত মহিলার ভুয়ো ‘লাইফ সার্টিফিকেট’ দেখে ব্যাঙ্ক কী ভাবে পেনশনের টাকা দিয়ে দিল, সেই প্রশ্ন উঠছে শুভব্রত-কাণ্ডে।
কলকাতার গোয়েন্দা-প্রধান প্রবীণ ত্রিপাঠী বৃহস্পতিবার জানান, ২০১৭ সালের ২০ নভেম্বরও বেহালার শুভব্রত মজুমদার তাঁর মা বীণাদেবীর লাইফ সার্টিফিকেট নিউ আলিপুরের একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কে জমা দেন। একই দিনে ওই ব্যাঙ্কে জমা পড়ে তাঁর বাবা গোপালবাবুর লাইফ সার্টিফিকেট। ‘‘তিন বছর আগে মৃত বীণাদেবীর ওই লাইফ সার্টিফিকেট জমা নিয়ে ব্যাঙ্ক কী ভাবে পেনশনের টাকা দিল, তার তদন্ত চলছে। এই ব্যাপারে ওই ব্যাঙ্কের সার্ভিস ম্যানেজার ডিপি গুহকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে,’’ বলেন গোয়েন্দা-প্রধান।
লাইফ সার্টিফিকেটে পেনশন প্রাপকের স্বাক্ষর বা টিপছাপ থাকে। মৃত বীণাদেবীর সই কে নকল করল, পুলিশ তা খতিয়ে দেখছে। তাঁর ওই নথির সঙ্গে চিকিৎসকের সার্টিফিকেট ছিল কি না, তা-ও দেখা হচ্ছে। বীণাদেবী ফুড কর্পোরেশন অব ইন্ডিয়ায় চাকরি করতেন। পেনশন দেওয়ার নিয়ম কী, ওই সংস্থার কাছে জানতে চাইছে পুলিশ। ‘‘শুভব্রতকেও ফের জেরা করছি,’’ বলেন ত্রিপাঠী।