পুনরায় পরীক্ষার দাবি জানিয়ে আজ কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়নমন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকরকে চিঠি দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এক দফা মুখ পুড়েছিল দশম ও দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁসের সময়ে। কিন্তু তা থেকে যে সিবিএসই কর্তৃপক্ষ কোনও শিক্ষাই নেননি, তা ফের প্রমাণ হয়ে গেল গত কালের ন্যাশনাল এলিজিবিলিটি কাম এন্ট্রান্স টেস্ট (নিট)-এ। গোটা দেশে একযোগে এমবিবিএস ও বিডিএস কোর্সের প্রবেশিকা পরীক্ষা নিতে গিয়ে ফের বিভ্রাটে কেন্দ্রীয় বোর্ড। যার শিকার পশ্চিমবঙ্গও। প্রতিবাদে প্রয়োজনে পুনরায় পরীক্ষার দাবি জানিয়ে আজ কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়নমন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকরকে চিঠি দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
গত কাল বিভ্রান্তির অভিযোগ মূলত ওঠে পশ্চিমবঙ্গ ও তামিলনাড়ু থেকে। রাজ্যে কাশীপুরের একটি সরকারি স্কুলে যথেষ্ট সংখ্যক প্রশ্নপত্র না পৌঁছনোয় বিক্ষোভ দেখান পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকেরা। শেষে প্রশ্নপত্রের ফোটোকপি করে পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয়। কিন্তু মমতার অভিযোগ, প্রত্যেক প্রশ্নপত্রে আলাদা কোড থাকে। যার ভিত্তিতে চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হয়। এখন প্রশ্নপত্রের ফোটোকপি ব্যবহার হওয়ায় একই কোড দু’জন পরীক্ষার্থীর খাতায় থাকবে। তাতে প্রশ্নপত্র বাতিল হওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তৃণমূল নেত্রী। বেশ কিছু জায়গায় বাংলা প্রশ্নপত্র না পৌঁছনো নিয়েও সরব হয়েছেন মমতা। রাজ্যের সঙ্গে সিবিএসই বোর্ডের প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায়ে সমন্বয় গড়ে তোলার দাবি তোলেন তিনি।
অস্বস্তিতে সিবিএসই কর্তৃপক্ষও। ফোটোকপির বিষয়টি তাঁরা ওই কেন্দ্রের রিপোর্টের অপেক্ষায় রয়েছেন।
পরে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন। আঞ্চলিক ভাষার প্রশ্নপত্র না পৌঁছনোর জন্য দায়ী কারা, খতিয়ে দেখা হচ্ছে।