আটকাল পুলিশ, ক্ষুব্ধ দুই নেতা

এ দিন দুপুর ২টো নাগাদ প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর গাড়ি আসানসোলের কাল্লা মোড়ে ২ নম্বর জাতীয় সড়কে পৌঁছয়। তিনি সেখান থেকে প্রায় দু’কিলোমিটার দূরে রেলপাড়ে যেতে চাইছিলেন। কিন্তু আটকে দেয় পুলিশ। জানানো হয়, ১৪৪ ধারা জারি রয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

আসানসোল ও দুর্গাপুর শেষ আপডেট: ০১ এপ্রিল ২০১৮ ০১:৩২
Share:

বাঁ দিকে, কাল্লায় অধীর চৌধুরী। ডান দিকে, পুলিশের সঙ্গে কথা সুজন চক্রবর্তীর। নিজস্ব চিত্র

অশান্ত এলাকায় যাওয়ার জন্য শহরে এসেছিলেন তাঁরা। তবে পুলিশ আটকে দিল তাঁদের। শনিবার কংগ্রেসের অধীর চৌধুরী ও সিপিএমের সুজন চক্রবর্তী, দু’জনকেই আসানসোলের রেলপাড় এলাকায় যেতে দিল না পুলিশ।

Advertisement

এ দিন দুপুর ২টো নাগাদ প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর গাড়ি আসানসোলের কাল্লা মোড়ে ২ নম্বর জাতীয় সড়কে পৌঁছয়। তিনি সেখান থেকে প্রায় দু’কিলোমিটার দূরে রেলপাড়ে যেতে চাইছিলেন। কিন্তু আটকে দেয় পুলিশ। জানানো হয়, ১৪৪ ধারা জারি রয়েছে। তাই যাওয়া যাবে না। অধীর গাড়ি থেকে নেমে ক্ষোভ জানাতে থাকেন। কংগ্রেস কর্মীরা রাস্তায় বসে প্রতিবাদও শুরু করেন। পুলিশের বড় বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছয়।

অধীর বলেন, ‘‘আমি শুধু এলাকায় গিয়ে একটু মানুষের কথা শুনতে চেয়েছিলাম। কিন্তু পুলিশ অন্যায় ভাবে আটকাল। আমি তো গোলমাল করতে যাচ্ছি না, তাহলে এত ভয় কীসের!’’ তাঁর দাবি, শহরে গোলমালের ঘটনায় বহিরাগত কেউ ছিল না। তৃণমূলের দু’টি গোষ্ঠী, যারা লোহা-কয়লার বেআইনি কারবারে যুক্ত, তারাই এ সব করেছে। তাতে বিজেপি মদত দিয়েছে বলেও তাঁর অভিযোগ। এ দিন ঘণ্টাখানেক বিক্ষোভ চলার পরে অধীর গাড়িতে উঠে ফিরে যান। রাস্তা থেকে তুলে দেওয়া হয় কংগ্রেস কর্মীদের অবরোধও।

Advertisement

বিকেল সাড়ে ৩টে নাগাদ কালিপাহাড়ি মোড়ে পৌঁছন সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী। পুলিশ তাঁরও গাড়ি আটকে জানায়, ১৪৪ ধারা জারি রয়েছে, ঢোকা যাবে না। সুজন দলের অফিসে যাবেন জানালে পুলিশ তাঁকে ছাড়ে। তিনি দলের আপকার গার্ডেন পার্টি অফিসে যান। সেখানে খানিকক্ষণ কাটানোর পরে পায়ে হেঁটে রেলপাড়ের দিকে রওনা দেন। কিন্তু রাস্তায় পুলিশ তাঁকে আটকে দেয়। এর পরে সুজন গাড়ি নিয়ে কল্যাণপুরে দলের কার্যালয়ে যান। পরে সেখান থেকে ফিরে যান। সুজন বলেন, ‘‘আমি ঘটনাস্থলে যেতে চেয়েছিলাম। কিন্তু পুলিশ আটকে দিল। এখানে গোলমাল থামাতে পুলিশ-প্রশাসন ব্যর্থ হয়েছে। বহু মানুষের ক্ষতি হয়েছে। আর যেন এমন না হয়।’’

এ দিন আসানসোলে যাওয়ার আগে দুর্গাপুরে সুজন দাবি করেন, বামফ্রন্টের উদ্যোগে শান্তি মিছিলের আয়োজনে ভয় পেয়েই ১৪৪ ধারার মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। তাঁর অভিযোগ, ‘‘রাজ্য সরকার শান্তি ফেরাতে উদ্যোগী হবে না, সর্বদল বৈঠক করবে না। বামপন্থীরা সবাইকে নিয়ে মিছিলে উদ্যোগী হয়েছিল। তা-ও ভেস্তে দেওয়া হল। এতেই বোঝা যাচ্ছে সরকার ভীত-সন্ত্রস্ত।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement