প্রতীকী ছবি।
শুধু যৌন নিগ্রহ নয়। তাঁকে ধর্ষণও করা হয়েছিল। রবিবার রাতে, নির্যাতনের প্রাথমিক ধাক্কা কাটিয়ে এমনই দাবি করেছিলেন নদিয়ার ঘোড়ালিয়া পঞ্চায়েতের বিজেপি প্রার্থীর অন্তঃসত্ত্বা জা। সেই মর্মে ওই মহিলার শাশুড়িও থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। সোমবার, কলকাতার এনআরএস হাসপাতালে শুয়ে সে অভিযোগ ফের এক বার মনে করিয়ে দিলেন ওই নির্য়াতিতা। তা হলে, প্রথমেই সে অভিযোগ করলেন না কেন?
মহিলা জানাচ্ছেন, পরিবারের সম্মানহানির কথা ভেবে প্রথমে ধর্ষণের বিষয়টা সামনে আনতে চাননি তিনি। তাই, যৌন নির্যাতনের অভিযোগটুকুই শুধু পুলিশের কাছে জানিয়ে ছিলেন। যদিও নদিয়া জেলার পুলিশ কর্তাদের দাবি, ধর্ষণ এখনও প্রমাণিত নয়। জেলা পুলিশ সুপার সন্তোষ পান্ডে বলছেন, “সব রকম তদন্তই চলছে। তবে, এখনও পর্যন্ত ধর্ষণ হয়েছে, এমন প্রমাণ মেলেনি।”
ওই ঘটনায় বাপ্পা শেখ নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। খোঁজ মেলেনি মনোজ সরকারের। শান্তিপুর কলেজের ছাত্র সংসদের প্রাক্তন জিএস মনোজ, গত বছর, ওই কলেজে পরিচালন সমিতির নির্বাচনের সময়ে কলেজেই শিক্ষকের মাথায় পিস্তল ধরার ঘটনায় অভিযুক্ত। এ ঘটনাতেও মনোজ জড়িয়ে পড়ায় দলের যে মুখ পুড়েছে, তা মানছেন স্থানীয় তৃণমূল নেতারা। তবে, শান্তিপুরের স্থানীয় বিধায়ক তৃণমূলের অরিন্দম ভট্টাচার্য দাবি করেছেন, “ওই ঘটনায় দলের কেউ জড়িত নয়। তৃণমূল এই ধরনের ঘটনাকে প্রশ্রয় দেয় না।’’ বিজেপির নদিয়া (দক্ষিণ) সাংগঠনিক জেলার সভাপতি জগন্নাথ সরকার বলেন, “এর শেষ দেখে ছাড়ব। অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা না হলে বৃহত্তর আন্দোলনে নামব।”
সোমবার, এনআরএস হাসপাতালে বিজেপি’র মহিলা মোর্চার বেশ কয়েক জন কর্মীকে নিয়ে নির্যাতিতার সঙ্গে দেখা করতে যান বিজেপি নেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায়। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, তাঁরা হাসপাতালের ওয়ার্ডে ঢুকতে গেলে মহিলা পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয়।