কলকাতায় পুরভোটের আগে তৃণমূলের কর্মীসভায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ‘কোনও অবস্থাতেই ভোটে জেতার জন্য জোর খাটানো চলবে না’ বলে নির্দেশ দিলেও নির্বাচনের দিন পুরোপুরি অশান্তির অভিযোগ এড়ানো সম্ভব হয়নি শাসকদলের। এর পর চারটি পুরনিগমের ভোটেও বিক্ষিপ্ত অশান্তির অভিযোগ উঠেছে।
প্রতীকী ছবি।
রাত পোহালেই রাজ্য জুড়ে ১০৮টি পুরসভার ভোট। তার আগে দলের মুখপত্রে কর্মীদের উদ্দেশে ১০ দফা নির্দেশ জারি করলেন তৃণমূল নেতৃত্ব। তাতে ভোটগ্রহণ পর্বে বাড়তি ভোট পাওয়ার উৎসাহে জোর না খাটানোর বার্তা দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি দেওয়া হয়েছে, ‘অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাস’ এড়ানোর পরামর্শ।
পাঁচ নম্বর নির্দেশিকায় লেখা হয়েছে, ‘‘উৎসবের মেজাজে ভোট হোক। অবাধ গণতান্ত্রিক পরিবেশে। কাজ ও পরিষেবার ভিত্তিতে মানুষ তৃণমূলকেই ভোট দেবেন এবং জেতাবেন। বাড়তি ভোটের জন্য উৎসাহে কেউ এমন কিছু করবেন না, যাতে বিতর্ক হয়। মনে রাখুন এটা মিডিয়া ও তথ্যপ্রযুক্তির যুগ। হাতের ফোনও ক্যামেরা। নিশ্চিত জয়ের মধ্যে এমন কোনও বিচ্ছিন্ন মুহূর্তও রাখা যাবে না, যা নিয়ে পরে কুৎসা হতে পারে।’
কলকাতায় পুরভোটের আগে তৃণমূলের কর্মীসভায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ‘কোনও অবস্থাতেই ভোটে জেতার জন্য জোর খাটানো চলবে না’ বলে নির্দেশ দিলেও নির্বাচনের দিন পুরোপুরি অশান্তির অভিযোগ এড়ানো সম্ভব হয়নি শাসকদলের। এর পর চারটি পুরনিগমের ভোটেও বিক্ষিপ্ত অশান্তির অভিযোগ উঠেছে। এই পরিস্থিতিতে শনিবার প্রকাশিত ১০ দফা নির্দেশিকার আট নম্বরে লেখা হয়েছে, ‘বিরোধীরা জানে তারা হারবেই। তাই প্রচারে থাকতে তারা প্ররোচনা দিয়ে নাটক করতে পারে। কোনও ভাবে ওই সব প্ররোচনায় পা দেবেন না। দরকারে নেতৃত্ব বা পুলিশকে জানাবেন।’
তবে রবিবার ভোটগ্রহণের আগে যাতে দলের স্থানীয় নেতা-কর্মীরা গা-ছাড়া মনোভাব না দেখান, সে বিষয়েও স্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছে জোড়াফুল শিবির। আট নম্বর নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, ‘আত্মবিশ্বাস ভাল। কিন্তু অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাস কেউ দেখাবেন না। শেষ ভোটারের ভোট পর্যন্ত মনোসংযোগ দিয়ে বুথ বা ক্যাম্পে থাকুন।’ গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব এড়িয়ে দলের সব শাখাসংগঠনকে নিয়ে ভোটের দিন কাজ করা, ‘কমিটেড ভোটারদের’ আগেভাগে ভোটদান করানোর কথাও রয়েছে ওই ১০ দফা নির্দেশিকায়।