West Bengal Municipal Election 2020

প্রতিপক্ষ কোথায় ভাল, দেখছেন পিকে

বিরোধী শিবিরের কে পরিচিত শুধু তাই নয়, কোন গুণে স্থানীয় স্তরে তিনি প্রভাবশালী সেই তথ্যও সংগ্রেহ করছে তারা। 

Advertisement

রবিশঙ্কর দত্ত

শেষ আপডেট: ২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ১১:০০
Share:

প্রশান্ত কিশোর।—ছবি পিটিআই।

তৃণমূলের ভোটকুশলী তিনি। তবে তাঁর ‘কৌশলে’ গুরুত্ব পাচ্ছে প্রতিপক্ষ দলগুলিও। ভোটের রণ-নীতি সাজাতে এমনটাই করছেন প্রশান্ত কিশোর।

Advertisement

রাজ্যের সব বিধানসভা কেন্দ্রে সিপিএম, কংগ্রেস বা বিজেপির পরিচিত মুখ কে? আরএসএস বা গেরুয়া ঘরানার রাজনীতিরই বা কাদের পরিচিতি আছে সংশ্লিষ্ট এলাকায়? বিধানসভা কেন্দ্রগুলিতে বিরোধী শিবিরের শক্তি মাপতে দলের জনপ্রতিনিধি ও বুথেস্তরের নেতা-কর্মীদের কাছে এই তথ্য জানতে চাইছে টিম পিকে। বিরোধী শিবিরের কে পরিচিত শুধু তাই নয়, কোন গুণে স্থানীয় স্তরে তিনি প্রভাবশালী সেই তথ্যও সংগ্রেহ করছে তারা।

একেবারে বুথ পর্যন্ত এইরকম একটা তালিকাও থাকছে টিম পিকে’র কাছে। সেই কারণেই এই পর্বে দলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে দীর্ঘ বৈঠক করছেন জেলা জেলায় টিম টিম পিকে’র প্রতিনিধিরা। দলীয় সূত্রে খবর, যে সব জায়গায় তৃণমূল পিছিয়ে রয়েছে, তার স্থানীয় কারণ অনুসন্ধানের কাজ আগেই শুরু করেছে টিম পিকে। তারই অংশ হিসেবে একেবারে বুথ পর্যন্ত বিরোধীদের মুখ ও গুণ জানতে চাইছেন তাঁরা। দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায় এই প্রশ্নোত্তর পর্ব শেষ হয়েছে। এক বিধায়কের কথায়, ‘‘আমার কেন্দ্রে যাঁরা দৈনন্দিন কাজের সঙ্গে যুক্ত তাঁদের সঙ্গে প্রায় ৫ ঘন্টা বসেছিলেন পিকে’র প্রতিনিধিরা। সত্যিই এমন কিছু বিষয় নিয়ে কথা হয়েছে যা আমরা আগে নির্বাচনী প্রস্তুতির সময় ভাবিনি।’’

Advertisement

সংগঠনে নাড়াচাড়া দিতে গত ৬ মাসে ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচিতে নেমেছিল গোটা দল। দু’দফায় তার মূল্যায়নও করা হয়েছে। তার মধ্যেই পুরভোট এসে যাওয়ায় পুরসভাগুলিতে দলের অবস্থা দেখা শুরু করেছে টিম পিকে। রাজ্যের সব জেলার পুরসভাগুলিতে একেবারে ওয়ার্ড ধরে নির্দিষ্ট তথ্য নেওয়ার পরে দল ও প্রশাসনের পদাধিকারীদের কাছ থেকেও সামগ্রিক পরিস্থিতি বুঝতে চাইছেন তারা। পাশাপাশি বিধানসভা কেন্দ্রগুলিতেও রাজনৈতিক বিন্যাস বুঝতে সমীক্ষা চলছে।

তৃণমূলের সাংগঠনিক কাজের দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে যে বিষয়টি পিকে’র প্রতিনিধিদের সামনে এসেছে তা দলের অভ্যন্তরীণ বিরোধ। প্রায় সব বিধানসভা কেন্দ্রেই একাধিক গোষ্ঠীর সন্ধান পাওয়ার পর থেকেই এ ব্যাপারে সতর্ক পদক্ষেপ করতে চেয়েছেন তারা। নির্বাচনে সেই গোষ্ঠী-বিবাদ কোথায়, কতটা ক্ষতি করতে পারে তা নিয়েও সমীক্ষা করেছে। সেই মতো সব পক্ষের সঙ্গে তারাই সরাসরি যোগাযোগ রাখছে। তৃণমূলের এক শীর্ষনেতার কথায়, ‘‘পুরভোটের প্রস্তুতি সম্পূর্ণ হলে কর্পোরেশন ও পুরসভা মিলিয়ে ১০০ টির বেশি বিধানসভা কেন্দ্রে সাংগঠনিক কাজ এগিয়ে থাকবে। যে সব জায়গায় পুরসভা নেই সেখানেও বিধানসভা কেন্দ্র হিসেবে প্রস্তুতি চলছে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement