রাজ্য নির্বাচন কমিশন।—ফাইল চিত্র।
ভোটকর্মী, ভোটকেন্দ্র, পুর নির্বাচনের বিধি সংক্রান্ত বই-সহ ভোটকেন্দ্রিক নানা খুঁটিনাটি বিষয়ে জেলাশাসকদের সঙ্গে বৈঠকে আলোচনা করে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। কিন্তু কলকাতা-সহ শতাধিক পুরসভার আসন্ন নির্বাচনে বৈদ্যুতিন ভোটযন্ত্রে (ইভিএম) বোতাম টিপতে হবে, নাকি ব্যালট পেপারে ছাপ দিতে হবে— সেই বিষয়ে বুধবারেও জেলাশাসকদের বৈঠকে দিশা দেখাতে পারল না তারা। ভোটের দিনক্ষণেরও আঁচ দেওয়া যায়নি জেলাশাসকদের। দুপুরে কমিশনের দফতরে ওই বৈঠকে অবশ্য রাজ্যপালের প্রসঙ্গ উঠেছিল।
জেলাশাসকদের সঙ্গে বৈঠকে ছিলেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার সৌরভ দাস, সচিব নীলাঞ্জন শাণ্ডিল্য এবং যুগ্মসচিব ইন্দ্রনীল মুখোপাধ্যায়। সংশ্লিষ্ট সূত্রের খবর, ভোটের বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনার মধ্যেই আসে রাজ্যপালের প্রসঙ্গ। কমিশনার জানান, রাজ্যপাল খোঁজ (পুরভোটের) রাখছেন। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের অনেকের মতে, কমিশনার হয়তো রাজ্যপালের প্রসঙ্গ তুলে পরোক্ষে কোনও বার্তা দিয়ে থাকতে পারেন। অন্য এক দল পর্যবেক্ষকের মতে, কমিশনারের এই উক্তির বিশেষ অর্থ খোঁজা অর্থহীন। ভোটকেন্দ্র প্রস্তুত কি না, তা যাচাই করতে জেলাশাসকদের নির্দেশ দিয়েছে কমিশন। স্পর্শকাতর বুথের প্রসঙ্গ আসে সেই প্রসঙ্গেই। পরে এই ধরনের বুথের হিসেব করতে হবে বলে জানান কমিশনার।
কোথায় ক’টি ইভিএম কার্যকর অবস্থায় আছে, সেই প্রসঙ্গ ওঠে বৈঠকে। দীর্ঘদিন ভোটের সঙ্গে যুক্ত থাকা ব্যক্তিদের মতে, নির্ধারিত সময়ে ভোট করতে হলে ইভিএম ব্যবহারের সম্ভাবনা ক্রমশই ক্ষীণ হচ্ছে। রাজ্য প্রশাসন সূত্রে দাবি, আগামী সপ্তাহে কলকাতা ও হাওড়ার পুরভোটের নির্ঘণ্টের বিষয়ে দিশা মেলার সম্ভাবনা আছে। উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং হাওড়ার জেলাশাসকদের বৈঠকে প্রস্তুতির কথা বলেছিলেন কমিশন-কর্তারা। তার পরেই বাকি জেলার অনেকে কমিশনের তৎপরতা প্রসঙ্গে প্রশ্ন তুলেছিলেন। এ দিনের বৈঠক সেই প্রশ্নের কিছুটা জবাব দিল বলেই অনেক পর্যবেক্ষকের অভিমত।