Madhyamik 2023

‘ফাঁস নয়, পরিকল্পিত অন্তর্ঘাত’, মাধ্যমিকের প্রশ্নপত্রকাণ্ডে তদন্তের বার্তা পর্ষদের

পর্ষদের দাবি, শুক্রবার বেলা ১১টা ৪৫ মিনিটে পরীক্ষার্থীদের প্রশ্নপত্র দেওয়া হয়েছিল। ১২টায় পরীক্ষা শুরু হয়। যখন ছবি তোলা হয়েছিল, পরীক্ষাকেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত শিক্ষক-শিক্ষিকারা হলেই ছিলেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১৯:৩৯
Share:

প্রশ্নপত্রকাণ্ডের তদন্ত চাইল পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।

পরীক্ষা চলাকালীন মাধ্যমিকের ইংরেজি প্রশ্নপত্র ‘ঘুরে বেড়ানো’ নিয়ে রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের অভিযোগের ‘জবাব’ দিল পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। শুক্রবার বিকেলে পর্ষদের তরফে প্রকাশিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, টুইটারে সুকান্তের পোস্ট করা ছবি ১৬ পাতার ইংরেজি প্রশ্নপত্রের ২, ৩ এবং ১০ নম্বর পাতার।

Advertisement

পাশাপাশি, পর্ষদের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘‘এটি প্রশ্নফাঁসের ঘটনা নয়, পরিকল্পিত অন্তর্ঘাত।’’ সেই ‘পরিকল্পিত অন্তর্ঘাতের’ উৎস খুঁজে বার করার জন্য ইতিমধ্যেই তাঁরা প্রশাসনকে অনুরোধ করেছেন বলে পর্ষদ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন। পর্ষদের দাবি, শুক্রবার বেলা ১১টা ৪৫ মিনিটে পরীক্ষার্থীদের প্রশ্নপত্র দেওয়া হয়েছিল। ১২টায় পরীক্ষা শুরু হয়। যখন ছবি তোলা হয়েছিল, পরীক্ষাকেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত শিক্ষক-শিক্ষিকারা হলেই ছিলেন। ফলে পরীক্ষার উপর কোনও প্রভাব পড়েনি।

প্রসঙ্গত, শুক্রবার দুপুরে সুকান্তের টুইটের পরেই পর্ষদ সভাপতি রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায় বলেছিলেন, ‘‘ইংরেজি প্রশ্নপত্রের ২, ৩ এবং ১০ নম্বর পাতার ছবি তোলা হয়েছে। বেলা দেড়টা থেকে পৌনে ২টোর মধ্যে এই ঘটনা ঘটেছে। কোনও এক পরীক্ষার্থী মোবাইলে ছবিটি তুলেছেন। আদালতের নির্দেশে আমরা ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করতে পারি না। এই ঘটনায় পরীক্ষার উপর প্রভাব পড়েনি। কারণ, দেড় ঘণ্টা পরে ঘটনাটি ঘটেছে।’’

Advertisement

কিন্তু কী ভাবে পরীক্ষাকেন্দ্রে ছবি তোলা হল? পর্ষদ সভাপতির যুক্তি ছিল, ‘‘পরীক্ষার্থীদের মোবাইল ফোন নিয়ে পরীক্ষাকেন্দ্রে ঢোকা নিষেধ। কিন্তু আমরা তো ‘মেটাল ডিটেক্টর’ ব্যবহার করি না। শিক্ষক-শিক্ষিকারাই নজর রাখেন।’’ সেই সঙ্গে তিনি জানিয়েছিলেন, ‘কোনও পরীক্ষার্থী দুষ্টুমি’ করে এমনটা করে থাকতে পারে বলেও জানিয়েছিলেন তিনি।

প্রসঙ্গত, পরীক্ষা চলাকালীন মাধ্যমিকের প্রশ্নপত্র ঘুরে বেড়াচ্ছে বলে শুক্রবার অভিযোগ তুলছিলেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত। মাধ্যমিকের দ্বিতীয় ভাষার পরীক্ষা চলাকালীনই ১টা ৪২ মিনিটে টুইটারে ইংরেজি প্রশ্নপত্রের ৩টি পাতার ছবি পোস্ট করেন তিনি। সুকান্তের পোস্ট করা প্রশ্নপত্রের ছবি যে এ বারের ১৬ পাতার ইংরেজি প্রশ্নপত্রেরই ৩টি পাতা তা স্বীকার করে নিয়ে তদন্তের প্রক্রিয়া শুরুর বার্তা দিল পর্ষদ।

তবে পর্ষদ তদন্ত চাইলেও সুকান্তের এই টুইটে বিধিভঙ্গ হয়নি বলে মনে করছেন অনেকে। কারণ, তিনি যখন ‘প্রশ্নপত্রের’ একাংশ টুইট করেছেন, তার ১ ঘণ্টা ৪২ মিনিট আগে, বেলা ১২টায় পরীক্ষা শুরু হয়েছে। দেড়টার পর থেকে খাতা জমা দিয়ে বাইরে আসার সুযোগ পেয়েছেন পরীক্ষার্থীরা। ফলে ‘টেকনিক্যালি’ বিষয়টিতে ‘প্রশ্নপত্র ফাঁস’ বলা যায় না।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement