ফাইল চিত্র
লক ডাউনের মধ্যে ভিন্্ রাজ্যের শ্রমিকদের ঘরে ফেরানোর উপরে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে কেন্দ্র। সেই নির্দেশিকা মেনে এ রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে আটকে থাকা ভিন্ রাজ্যের শ্রমিকদের জন্য খাবার, থাকার জায়গা খোঁজ করছে পুলিশ-প্রশাসন। শনিবারই দিল্লি থেকে ওই নির্দেশ নবান্নে পৌঁছেছে বলে খবর।
খাবার ও আশ্রয়স্থলের পাশাপাশি চিকিৎসা পরিষেবাও নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে।
প্রশাসনের খবর, এ দিনই বিভিন্ন জেলার এসপি মারফত পুলিশের কাছে নির্দেশ গিয়েছে। তার পর থেকেই বিভিন্ন থানা নিজেদের এলাকার ভিন্ রাজ্যের শ্রমিক চিহ্নিত করে তাঁদের উপযুক্ত খাবার ও আশ্রয়ের ব্যবস্থা শুরু করেছে। কর্নাটকের বিজাপুর থেকে আসা ২৫ জনের একটি দল আটকে পড়েছে পানাগড়ে। কাঁকসা থানা দলটিকে পানাগড়ের গুরুদ্বারে আশ্রয়ের ও খাওয়ার ব্যবস্থা করেছে। গুরুদ্বারের তরফে হরবংশ সিংহ জানান, যত দিন পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হবে, তত দিন এখানেই থাকবে দলটি।
নবান্ন সূত্রের খবর, এ রাজ্যে আটকে থাকা কোনও ভিন্ রাজ্যের বাসিন্দা নিজ রাজ্যে ফিরতে চাইলে প্রথমে তাঁকে স্থানীয় থানায় যোগাযোগ করে আবেদন জানাতে বলা হয়েছিল। সঙ্গে জমা দিতে হচ্ছিল পরিচয়পত্রও। পুলিশ সেই আবেদনপত্রটি প্রাথমিক ভাবে খতিয়ে দেখে একটি বিশেষ অনুমতি পত্র মঞ্জুর করছিল। কিন্তু শনিবারের ওই নির্দেশিকা মেলার পরে রাজ্য পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে আর কোনও ভিন্ রাজ্যের আটকে পরা শ্রমিককে রাজ্য ছাড়ার অনুমতি দেওয়া হবে না।
প্রশাসনের একাংশ জানিয়েছে, করোনাভাইরাস যাতে কোনও ভাবেই ছড়িয়ে না-পড়ে, তার সর্তকতা হিসেবে ভিন্ রাজ্যের শ্রমিকদের বাড়ি ফেরার উপরে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, অতিমাত্রায় সতর্ক না-হলে করোনাভাইরাস দ্রুত জনগণের মধ্যে ব্যাপক আকারে ছড়িয়ে পড়তে পারে।
তবে এই রাজ্যের শ্রমিকদের যাঁরা নিজের জেলার বাইরে আটকে পড়েছেন তাঁদের ফেরার উপরে কোনও সমস্যা নেই বলে পুলিশ সূত্রের দাবি। সে ক্ষেত্রে পরিচয়পত্র দেখিয়ে পুলিশের কাছ থেকে অনুমতিপত্র সংগ্রহ করতে হচ্ছে। উত্তরবঙ্গের একটি থানার আধিকারিক জানান, গত দু’দিনে এ রাজ্যের কয়েকশো বাসিন্দার আবেদন তিনি মঞ্জুর করেছেন সব কিছু খতিয়ে দেখে। ওই আবেদনকারীরা শ্রমিকের কাজ করতেন বিভিন্ন ছোট ছোট কারখানায়। তবে তাঁদের দেওয়া ছাড়পত্রে নির্দিষ্ট ভাবে দিন লিখে দেওয়া হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। আরামবাগে আটকে পড়া বাঁকুড়া এবং পুরুলিয়ার ৮৪ জন ঠিকাশ্রমিককে বাড়ি ফিরিয়েছেন জেলা টিএমসিপি সভাপতি গোপাল রায়।
অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।