ছবি: এএফপি।
রাজস্থানের কোটায় আটকে পড়া এ রাজ্যের পড়ুয়াদের সেখানেই থাকা-খাওয়া এবং অন্যান্য জরুরি প্রয়োজনের জন্য খরচ বহন করতে তৈরি পশ্চিমবঙ্গ সরকার। রাজস্থান সরকারকে এ কথা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে এ রাজ্যের তরফে। রাজস্থান সরকারের পক্ষ থেকে বাংলার সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করে অনুরোধ করা হয়েছিল আটকে পড়া হাজার তিনেক পড়ুয়াকে ফিরিয়ে নিয়ে যেতে বাস পাঠানোর জন্য। বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষও প্রশ্ন তুলেছিলেন, ওই পড়ুয়াদের জন্য রাজ্যের কি কোনও দায়িত্ব নেই? কিন্তু এ রাজ্যের সরকার রাজস্থানকে জানিয়েছে, লকডাউনের মধ্যে বাস পাঠানো মুশকিল। তা ছাড়া, ভিন্ রাজ্য থেকে এ ভাবে কাউকে নিয়ে এলে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকিও থাকছে। তার পরিবর্তে যাঁরা কোটায় আছেন, তাঁরা সেখানেই থাকুন। খরচের বিষয়টি রাজ্য দেখবে।
তামিলনাড়ুতে চিকিৎসা বা অন্য কাজে গিয়ে আটকে পড়া পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দাদেরও সেখানে থাকা-খাওয়ার খরচ সে রাজ্যের সরকারের সঙ্গে ৫০:৫০ অনুপাতে ভাগ করে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলা। দক্ষিণী ওই রাজ্যে আটকে থাকা বাংলার মানুষের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য চেন্নাইয়ের বেঙ্গলি অ্যাসোসিয়েশনের দুই কর্তা সুরম্য দাশগুপ্ত ও অমিত বিশ্বাসকে দায়িত্ব দিয়েছে তামিলনাড়ু সরকার। ইতিমধ্যেই তাঁরা কিছু বিপন্ন মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগেই টুইট করে জানিয়েছেন, বাংলায় আটকে পড়া ভিন্ রাজ্যের শ্রমিকদের ৭১১টি শিবিরে রাখা হয়েছে। তার সব খরচ রাজ্য সরকারই দিচ্ছে। পরিযায়ী শ্রমিকদের নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলায় কেন্দ্রের জমা দেওয়া হলফনামায় বাংলায় থাকা পরিযায়ী শ্রমিকদের কোনও উল্লেখ ছিল না। বিষয়টি প্রকাশ্যে আনেন সিপিএম নেতা সীতারাম ইয়েচুরি ও সূর্যকান্ত মিশ্র। মুখ্যমন্ত্রীও পরে ৭১১টি শিবিরের কথা জানান।
আরও পড়ুন: করোনা হাসপাতালে মোবাইলের ব্যবহার নিষিদ্ধ করল রাজ্য সরকার
(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)