প্রতীকী ছবি।
গ্রামীণ অর্থনীতি চালু রাখতে ১০০ দিনের কাজ প্রকল্পের রূপরেখা তৈরির নির্দেশ দিল রাজ্য সরকার। সম্প্রতি গ্রাম পঞ্চায়েত উন্নয়ন পরিকল্পনা (জিপিডিপি) তৈরির জন্য সব জেলাশাসককে নির্দেশ দিয়েছে রাজ্যের পঞ্চায়েত দফতর।
লকডাউন পরিস্থিতিতে সব চেয়ে বিপদে পড়েছেন গরিবেরা। এ রাজ্যে মাটি কাটা, পুকুর খোঁড়া, রাস্তা তৈরি ছাড়াও সেচ, জনস্বাস্থ্য কারিগরি, উদ্যানপালন, কৃষি-সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রকে আগেই ১০০ দিনের কাজ প্রকল্পে যুক্ত করা হয়েছিল। কিন্তু লকডাউনে সেই সব কাজও বন্ধ। এ বার এই কাজকে নিয়ন্ত্রণমুক্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য ও কেন্দ্র।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বুধবার জানান, এলাকার ভিত্তিতে ওই প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত ৫০ শতাংশ শ্রমিককে ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে কাজের সুযোগ দেওয়া হবে। লকডাউনের সুরক্ষা-প্রোটোকল মেনেই।
আরও পড়ুন: আরও সক্রিয়তা চাই, প্রতিবাদে বাম-কংগ্রেস
সাধারণ ভাবে ১০ এপ্রিলের মধ্যে প্রতিটি গ্রাম পঞ্চায়েতকে পরিকল্পনা অনুমোদন করে তা ‘প্ল্যান প্লাস’-এ নথিবদ্ধ করতে হত। কিন্তু লকডাউনে তা করা সম্ভব হয়নি।
তাই দফতর জানিয়েছে, এলাকার ভিত্তিতে জিপিডিপি চূড়ান্ত করে অনুমোদন দিতে হবে। চূড়ান্ত জিপিডিপি নথিভুক্ত করার পরে সরকার তা খতিয়ে দেখে অনুমোদন দেবে। পঞ্চায়েতমন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘সেই জন্য পরিকল্পনা আগে থেকে তৈরি হয়ে থাকলে কাজ শুরু করতে অযথা দেরি হবে না। যত দ্রুত কাজ শুরু করা যাবে, তত দ্রুত প্রকল্পের টাকা পেতে শুরু করবেন উপভোক্তারা।’’
আরও পড়ুন: ভেন্টিলেটরের বিকল্প যন্ত্র তৈরি, দাবি এনআইটি-র
(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)