ফাইল চিত্র।
বিদেশ থেকে আগতদের ফেরানোর ব্যাপারে রাজ্য প্রশাসন তৈরি রয়েছে বলে কেন্দ্রকে জানাল নবান্ন। প্রশাসনিক সূত্রের খবর, বিদেশে পশ্চিমবঙ্গের আনুমানিক ১২ হাজার মানুষ আটকে রয়েছেন। সম্প্রতি বিদেশ মন্ত্রক রাজ্যের কাছে তাঁদের ফেরানোর পরিকল্পনা জানতে চেয়েছিল। একই সঙ্গে, রাজ্যের বিমান এবং সমুদ্র বন্দরের পরিস্থিতিও জানতে চায় বিদেশ মন্ত্রক। কেন্দ্রকে রাজ্য জানিয়েছে, বিধি এবং প্রোটোকল মেনে ‘হেলথ স্ক্রিনিং’ এবং ‘ইনস্টিটিউশনাল কোয়রান্টিন’-এর ব্যবস্থাও করা রয়েছে। ফলে বিশেষ বিমানে তাঁদের ফেরানো হলে রাজ্য প্রস্তুত রয়েছে।
নবান্নে স্বরাষ্ট্রসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় শনিবার বলেন, “বিদেশে আটকে থাকা বাংলার মানুষকে বিমানপথে ফিরিয়ে নেওয়ার জন্য যে উদ্যোগ শুরু হয়েছে,
তাতে রাজ্য সরকার সম্মতি দিয়েছে। গত কালই মুখ্যসচিব কেন্দ্রকে জানিয়েছেন, বিধি অনুযায়ী সব ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। বিদেশ থেকে দেশে যাঁরা ফিরবেন, তাঁদের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করা হয়েছে রাজ্যে। আরও যে সব প্রশ্ন কেন্দ্রের রয়েছে, সেগুলিও স্পষ্ট করতে রাজ্য প্রস্তুত।’’
স্বরাষ্ট্রসচিব জানিয়েছেন, প্রতিবেশী রাজ্যগুলি থেকে পায়ে হেঁটে পশ্চিমবঙ্গে চলে আসছেন বহু পরিযায়ী শ্রমিক। এ ভাবে ফিরতে গিয়ে রাজ্যের সীমানায় এলে বিভিন্ন মেডিক্যাল প্রোটোকল মিটিয়ে সরকারি বাসের সাহায্যে অথবা কোনও কোনও ক্ষেত্রে বেসরকারি বাসের সাহায্যে তাঁদের নিজস্ব জেলায় পৌঁছে দিচ্ছে সরকার। এ জন্য রাজ্য পরিবহণ নিগমগুলির এক হাজারের বেশি বাস ব্যবহার করা হচ্ছে। রাজ্যে আটকে পড়া পরিযায়ী শ্রমিকদের যাঁরা নিজের রাজ্যে ফিরতে চান, তাঁদের রাস্তার উপর দেখতে পেলে সীমানা পর্যন্ত অথবা বিহার-ঝাড়খণ্ড সীমানার নির্দিষ্ট জায়গায় বাসে করে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুন: শ্রমিক ফেরাতে ‘অসহযোগিতা’! মমতাকে অমিতের চিঠি ঘিরে তরজা
আরও পড়ুন: আটকে থাকা শ্রমিকদের ফেরানো এবং পাঠানোয় কী ব্যবস্থা নিয়েছে রাজ্য, জানালেন স্বরাষ্ট্রসচিব
স্বরাষ্ট্রসচিব জানান, এ রাজ্যে আটকে পড়া মানুষ, যাঁরা ছোট গাড়ি করে ফিরতে চেয়েছিলেন, এমন ১৮ হাজার ৮৪১ জনকে অ্যাপের মাধ্যমে পাস দেওয়া হয়েছে। এই
পাস নিয়ে বাসে দলবদ্ধ ভাবে গিয়েছেন ১১৭২ জন। ‘এন্ট্রি-পাস’-এর সাহায্যে ছোট গাড়ি করে রাজ্যে এসেছেন, ৫৪৭৫ জন এবং বাসে করে প্রায় ৭০০ মানুষ আসার অনুমতি নিয়েছেন।