প্রতীকী ছবি।
অত্যাবশ্যকীয় পণ্য বা পরিষেবার দোকান সময়ের আগে বন্ধ করে দেওয়া যাবে না। নির্দেশ জারি করে জানাল রাজ্য সরকার। করোনা মোকাবিলায় দেশজোড়া লকডাউন চলছে। কিন্তু সে লকডাউনের আওতা থেকে কোন কোন প্রতিষ্ঠান ছাড় পাচ্ছে, তা-ও বিজ্ঞপ্তি দিয়ে বার বার সরকার জানিয়েছে। তার পরেও সময়ের অনেক আগেই দোকান ও প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ করা হচ্ছে, ফলে দোকানগুলো খোলা থাকাকালীন সেখানে ভিড় বাড়ছে। এই পরিস্থিতি বরদাস্ত করা হবে না বলে জানিয়ে দেওয়া হল নবান্নের তরফ থেকে।
শনিবার সন্ধ্যার পরে এই নির্দেশটি জারি করেছে রাজ্য সরকার। নির্দেশটিতে স্বাক্ষর করেছে খোদ মুখ্যসচিব। সরকারি নির্দেশটিতে লেখা হয়েছে, ‘‘...অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের কেনাবেচা হয় যে সব দোকান বা প্রতিষ্ঠানে, সেগুলিকে সময়ের আগেই বন্ধ করতে বাধ্য করা হচ্ছে। এর ফলে দোকানগুলিতে ভিড় জমছে, যা সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার বিধির পরিপন্থী। ওষুধের দোকান-সহ সব অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের দোকানকে স্বাভাবিক কাজের সময়ে খোলা রাখার নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে।’’
দোকান বা প্রতিষ্ঠান সংক্রান্ত যে আইন রাজ্যে রয়েছে (শপস অ্যান্ড এস্টাব্লিশমেন্টস অ্যাক্টস), সেই আইন অনুযায়ী সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা হল দোকান খোলা রাখার স্বাভাবিক সময়। কিন্তু লকডাউন ঘোষিত হওয়ার পর থেকে এই সময়সীমা অনুসৃত হচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠছিল। ১২ ঘণ্টা তো দূরের কথা, অনেক এলাকাতেই ৮ ঘণ্টাও খুলে রাখা হচ্ছে না অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের দোকান, অভিযোগ এমনই। মাত্র কয়েক ঘণ্টার জন্য দোকান খোলা হলে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র সংগ্রহ করার জন্য ক্রেতাদের ওই সময়ের মধ্যেই দোকানে হাজির হতে হচ্ছে। আর তার জেরে যে ভিড় জমছে, তাতে সংক্রমণের ঝুঁকি বেড়ে যাচ্ছে বলে বিশেষজ্ঞদের মত।
আরও পড়ুন: রাজ্যে আরও ২ জনের করোনা, আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ১৭
আরও পড়ুন: গৃহ-পর্যবেক্ষণে থাকার নিয়ম কী কী? পরিবারের সদস্যরাই বা কী করবেন? জেনে নিন
আরও পড়ুন: জরুরি পরিষেবাতেও রাস্তায় ‘করোনা-পাশ’ চাই, কী ভাবে পাবেন জেনে নিন
রাজ্য সরকার বুধবার এই পরিস্থিতির নিরসন ঘটানোর জন্য পদক্ষেপ করল। স্বাভাবিক সময়ে দোকানপাট বা অন্য প্রতিষ্ঠান যতটা সময় খোলা থাকে, লকডাউনের মাঝেই অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের দোকানপাট তত ক্ষণই খোলা রাখতে হবে বলে নবান্নের তরফে এ দিন জানিয়ে দেওয়া হল।