ছবি: সংগৃহীত।
বিভিন্ন বেসরকারি স্কুলের পড়ুয়াদের ৩১ জুলাই পর্যন্ত বকেয়া ফি আগামী ১৫ অগস্টের মধ্যেই মেটাতে হবে বলে জানাল কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সঞ্জীব বন্দোপাধ্যায় ও বিচারপতি মৌসুমী ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ। এই সময়সীমা আগেই নির্দিষ্ট করে দিয়েছিল আদালত। সোমবার তা আর বাড়ানো হয়নি।
একটি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের আইনজীবী অয়ন চক্রবর্তী জানান, বিচারপতিরা জানিয়ে দিয়েছেন, অভিভাবকেরা বকেয়া ফি-র ৮০ শতাংশ দিতে না-পারলে স্কুল ‘প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা’ নিতে পারবে। ডিভিশন বেঞ্চ মামলার আবেদনকারীকে আরও জানিয়েছে, স্কুল ফি বৃদ্ধি বা আদায় নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি কোনও মন্তব্য বা প্রতিক্রিয়া দিতে পারবেন না। মামলার পরবর্তী শুনানি ১৭ অগস্ট।
স্কুলের ফি বৃদ্ধি, লকডাউনের সময় টিউশন ফি ছাড়াও স্কুল বাস ভাড়া ও অন্যান্য অপ্রয়োজনীয় কিছু ফি জমা দিতে হচ্ছে— এই অভিযোগ তুলে হাইকোর্টে মামলা করেন বিনীত রুইয়া নামে ওই অভিভাবক। গত ২১ জুলাই বিচারপতি বন্দোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশ দেয়, ১৫ অগস্টের মধ্যে বকেয়া ফি পুরোটা না দিতে পারলেও ৮০ শতাংশ ফি মেটাতে হবে। তবে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে তা না দিতে পারলেও অনলাইন ক্লাস করতে দিতে হবে। এ দিন বিচারপতিরা অবশ্য জানান, ফি না-পেলে স্কুল ব্যবস্থা নিতে পারবে। অভিভাবকদের আশঙ্কা, এর ফলে ফি না পেলে অনলাইন ক্লাস করতে না দেওয়ার অধিকার বেসরকারি স্কুল কর্তৃপক্ষের থাকবে।
আরও পড়ুন: আক্রান্তের চেয়ে সুস্থের সংখ্যা বেশি, রাজ্যে এক দিনে মৃত ৪ চিকিৎসক
করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে এ দিনও আদালতে অভিভাবকেরা স্কুল ফি মকুবের জন্য আর্জি জানান। অভিভাবকদের সংগঠন— ‘ইউনাইটেড গার্ডিয়ানস অ্যাসোসিয়েশনের’ পক্ষ থেকে পরবর্তী শুনানিতে এই মামলায় যুক্ত হওয়ার জন্য আবেদন জানায়। সংগঠনের পক্ষে সুপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘আদালত যে ৮০ শতাংশ ফি দেওয়ার কথা বলেছে, তা অধিকাংশ অভিভাবকদের পক্ষে দেওয়া খুবই কষ্টের। লকডাউনে অনেক অভিভাবক কাজ হারিয়েছেন। অনেকের বেতন কমেছে। পরবর্তী শুনানিতে অভিভাবকদের দুঃখকষ্টের কথা তুলে ধরার সুযোগ পেলে মাননীয় বিচারক ন্যায় ও মানবিকতার স্বার্থে সুবিচার করবেন, এই আশা রাখি।’’
ডিভিশন বেঞ্চ গত শুনানিতে নির্দেশ দিয়েছিল, যে সব বেসরকারি স্কুল এই মামলায় শামিল হতে চায়, তাদের বক্তব্য হলফনামা আকারে পেশ করতে পারে। এ দিন অন্তত ৪৫টি বেসরকারি স্কুল যুক্ত হয়েছে।