—ফাইল চিত্র।
লকডাউনের ধাক্কা সামলাতে না পেরে বন্ধ হয়ে যেতে পারে বেশ কিছু চা বাগান— আশঙ্কা করছে চা পর্ষদ। পর্ষদের আশঙ্কা, লকডাউনে প্রথম ফ্লাশের উৎপাদন অনেকটাই কমবে এবং ধাক্কা খাবে দ্বিতীয় ফ্লাশও। চা পর্ষদের নিজস্ব হিসেবে, অন্তত ১৫০০ লক্ষ কেজি চা পাতার ক্ষতি হতে পারে। টাকার অঙ্কে কয়েক হাজার কোটি টাকা। এর ফলে বহু সংস্থা কিছু দিনের জন্য বাগান বন্ধ করে দিতে পারে বলেও আশঙ্কা রয়েছে। তাতে শ্রমিকরাও সমস্যায় পড়বেন। সেই পরিস্থিতি এড়াতে কেন্দ্রের কাছে আর্থিক প্যাকেজ চেয়েছে চা পর্ষদ। কেন্দ্রীয় বাণিজ্য মন্ত্রকে পাঁচ দফা প্রস্তাবও পাঠিয়েছেন চা পর্ষদের চেয়ারম্যান। পর্ষদের পাঠানো প্যাকেজে অবশ্য সরাসরি শ্রমিকদের জন্য কিছু বলা নেই। তবে পর্ষদের দাবি, আপাতত লক্ষ্য হল চা বাগানগুলিকে সচল রাখা, তাতেই শ্রমিকরা উপকৃত হবেন।
পর্ষদের পাঠানো প্রস্তাবে যে ছাড়গুলি চাওয়া হয়েছে, সেগুলি হল: প্রথমত, এপ্রিল থেকে আগামী তিন মাস শ্রমিকদের পিএফের যে অংশ বাগান দেয়, তা কেন্দ্রীয় সরকার দিক। দ্বিতীয়ত, কৃষি ক্ষেত্রে ঋণের উপরে ৬% সুদ দিতে হয়। চা বাগান কর্তৃপক্ষকে ১০% হারে সুদ দিতে হয়। আপাতত চা শিল্প থেকে কৃষির মতো ৬% সুদ নেওয়া হোক। তৃতীয়ত, বাগানগুলির ঋণ পরিশোধ ও কিস্তি অনাদায়ে জরিমানার উপরেও ছাড় চেয়েছে পর্ষদ। সর্বোপরি, বাগানগুলির কার্যকরী মূলধন বাড়িয়ে দেওয়ার প্রস্তাবও পাঠানো হয়েছে।
চেয়ারম্যান প্রভাতকুমার বেজবড়ুয়া বলেন, “পশ্চিমবঙ্গে ২৫% এবং অসমে ৫০% শ্রমিক দিয়ে পাতা তোলা চলছে ঠিকই, কিন্তু তাতেও উৎপাদন ব্যাপক মার খাবে। প্যাকেজ না দিলে বহু বাগান সচল থাকবে কিনা সন্দেহ। বাণিজ্য মন্ত্রক আশ্বাস দিয়েছে, প্যাকেজ দেওয়া হবে।” ক্ষুদ্র চা চাষিদের সর্বভারতীয় সংগঠনের সভাপতি বিজয়গোপাল চক্রবর্তী বলেন, “আমরা হিসেব করে দেখেছি, প্রথম ফ্লাশের মরসুমে শুধুমাত্র দেশের ছোট চা বাগানগুলির ৯৪৮ কোটি টাকার ক্ষতির মুখে পড়বে। আর্থিক প্যাকেজ ছাড়া এই ক্ষতি পূরণ করে বাগান চালু রাখা সম্ভব নয়।”