ছবি: সংগৃহীত।
এ বারে খুচরো বিক্রয়কারীদের পাশাপাশি সাধারণ গ্রাহকেরাও অনলাইনে মদ ‘বুক’ করতে পারবেন। সরকারের পক্ষ থেকে মঙ্গলবার এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, ওয়েস্টবেঙ্গল স্টেট বেভারেজ কর্পোরেশনের পোর্টালে গিয়ে গ্রাহকেরা ই-রিটেল মোবাইল অ্যাপলিকেশনের মাধ্যমে সরাসরি মদ কিনতে পারবেন। অ্যাপলিকেশনটি প্রাথমিক ভাবে খুচরো বিক্রয়কারীদের জন্য খোলা হলেও সাত দিনের মধ্যে সাধারণ গ্রাহকও এই সুবিধা নিতে পারবেন বলে সরকারি সূত্রে জানানো হয়েছে। এর জন্য ২১ বছরের বেশি বয়সি ব্যক্তি পোর্টালে নিজের নাম-ধাম, ফোন নম্বর ইত্যাদি দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করে মদ কেনার আবেদন করতে পারবেন বলে জানিয়েছে প্রশাসন।
এ দিন রাজ্যের স্বরাষ্ট্রসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘কেন্দ্রের সঙ্গে রাজ্যগুলির যখন লকডাউন পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠক হয়, সেখানে নিত্য প্রয়োজনীয় নয়, এমন পণ্যের বিষয়টিও ওঠে। তখনই যে কোনও ধরনের পানীয়ের দোকান খোলার ব্যাপারে কেন্দ্র সম্মতি দেয়।’’
মঙ্গলবারেও মেদিনীপুর থেকে কোচবিহার, প্রায় সর্বত্র মদের দোকানের সামনের লাইনে এই বিধি কার্যত উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। যদিও মাস্ক ছাড়া মদ নয়, এই বিধি অনেক জায়গাতেই কড়া ভাবে মেনে চলেছেন দোকানিরা। যেমন হুগলির পাণ্ডুয়া ব্লকের ক্ষীরকুন্ডিতে। মদ কিনতে এসেছিলেন লক্ষ্মণ সরেন। তিনি বলেন, ‘‘মাস্ক না থাকায় দোকানদার মদ দিলেন না। বাধ্য হয়ে ৫০ টাকা দিয়ে নতুন গামছা কিনে মুখ বেঁধে তার পরে মদ কিনলাম।’’ অনেক জায়গায় পুলিশ পথে নেমে লাঠি হাতে বা মাইকিং করে ভিড় সামলেছে। সঙ্গে ছিলেন আবগারি দফতরের লোক। কোচবিহারে মহকুমাশাসক নিজেই পথে নেমেছিলেন লাঠি হাতে।
আরও পড়ুন: রাজ্য জুড়ে নজর রাখছেন ৬০ হাজার স্বাস্থ্যকর্মী, ফেসবুকে হিসাব দিলেন মমতা
আরও পড়ুন: অনিশ্চিত ভবিষ্যৎকে সঙ্গে নিয়ে ‘স্বস্তি’র ফেরা কিতাবুরের
আলাপন বলেন, ‘‘রেশনে যেমন দূরত্ব বিধি মানার ব্যবস্থা করা হয়েছে, এখানেও পুলিশ সে ব্যবস্থা করছে।’’ সর্বসাধারণের জন্য পোর্টাল চালু হলে ভিড় কমবে বলেও মনে করা হচ্ছে। প্রথম দু’দিনের বিক্রির যে প্রাথমিক হিসেব মিলেছে, তাতে জানা গিয়েছে, জলপাইগুড়িতে দু’দিনে সাড়ে চার কোটি টাকার মদ বিক্রি হয়েছে, পূর্ব বর্ধমানে এক কোটি ৭০ লক্ষ টাকা, বীরভূমে প্রায় ৮৮ লক্ষ টাকা, মালদহে প্রথম চার ঘণ্টায় বিক্রি হয়েছে ৫০ লক্ষ টাকার মদ। পূর্ব বর্ধমানের আবগারি দফতরের সুপারিন্টেন্ডেন্ট তপনকুমার মাইতি বলেন, ‘‘মদের দোকানগুলির সামনে লম্বা লাইন থেকেই বোঝা যাচ্ছে, চাহিদা কেমন!’’
(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)