Mamata Banerjee

সোমবার থেকে রাজ্যে কী কী খুলছে? জানালেন মমতা

রবিবার শেষ হবে চতুর্থ দফার লকডাউন। তার পর লকডাউন থাকবে কি না, থাকলে কী চেহারায় থাকবে, তা এখনও ঘোষণা করা হয়নি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ৩০ মে ২০২০ ০৪:৩৮
Share:

জনজীবন স্বাভাবিক করার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের কথা শুক্রবার জানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ছবি: পিটিআই।

স্বাস্থ্যবিধি আর নিয়মকে সঙ্গী করে ক্রমশই স্বাভাবিক জনজীবনের পথে হাঁটছে বঙ্গ। এ বার খুলতে চলেছে ধর্মস্থান। ৭০ শতাংশ কর্মী নিয়ে কাজ করবে সরকারি দফতর। বাসে যাত্রী বাড়ানোর অনুমোদন মিলেছে। হকারদের বসার ক্ষেত্রেও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করবে পুলিশ। শুক্রবার নবান্নে এবং পরে টুইটে এই সব পদক্ষেপের কথা জানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে জনজীবন স্বাভাবিক করার প্রয়োজনীয়তা স্বীকার করলেও বাম এবং কংগ্রেসের প্রশ্ন, কী ধরনের স্বাস্থ্যব্যবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে এত ছাড় দেওয়া হল, তা স্পষ্ট করা হোক। আর বিজেপি লকডাউন আরও বাড়ানোর পক্ষে।

Advertisement

আগামিকাল, রবিবার শেষ হবে চতুর্থ দফার লকডাউন। তার পর লকডাউন থাকবে কি না, থাকলে কী চেহারায় থাকবে, তা এখনও ঘোষণা করা হয়নি। তবে মুখ্যমন্ত্রী জানান, পরশু, সোমবার (১ জুন) সকাল ১০টা থেকে রাজ্যে মন্দির, মসজিদ, গির্জা, গুরুদ্বার খুলতে পারবেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। তবে একসঙ্গে দশ জনের বেশি ধর্মীয়স্থানে প্রবেশ করা যাবে না। কোনও জমায়েত বা উৎসবও করতে পারবেন না কর্তৃপক্ষ।

প্রসঙ্গত, বহু লোক যে বিধি না-মেনে একসঙ্গে জড়ো হয়ে যাচ্ছেন, তা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন মমতা। বলেন, ‘‘একসঙ্গে খেতে বসে যাই, বাজার করি, জড়ো হয়ে যাই। এতে রোগ বাড়ে। ’’ মাস্ক পরা এবং বার বার হাত ধোয়ার উপর জোর দেন তিনি। হটস্পট এলাকা থেকে আসা শ্রমিকদের পরিবহণের ক্ষেত্রেও দূরত্ববিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই সূত্র ধরেই তিনি বলেন, ‘‘রেলে যদি হাজার হাজার লোক যাতায়াত করতে পারেন, তা হলে মন্দির খুলতে পারে, মসজিদ খুলতে পারে, গির্জা খুলতে পারে, গুরুদ্বার খুলতে পারে।’’

Advertisement

ছাড় বৃত্তান্ত

১ জুন থেকে খুলবে
• ধর্মীয় স্থান (১০ জন পর্যন্ত প্রবেশে ছাড়)। কোনও বড় উৎসব নয়

আরও সিদ্ধান্ত

• ১০০ শতাংশ
কর্মী চা বাগান ও জুট মিলে
• ৭০ শতাংশ কর্মী নিয়ে খুলবে সরকারি অফিস
• গোটা জুনই বন্ধ স্কুল, কলেজ ও অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র

তবে এখনই মসজিদের বাইরে নমাজ পড়া যাবে না। ধর্মীয় স্থানে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে দায়িত্ব পালনের প্রয়োজনীয়তার কথাও স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর মতে, ‘‘দায়িত্ব পালন না-করলে লকডাউন আইনের পথে যেতে হবে।’’ প্রয়োজনে ধর্মীয় স্থানে থাকা কমিটিগুলি পুলিশের সঙ্গে কথা বলে স্বেচ্ছাসেবকের ব্যবস্থাও করতে পারে বলে মত মুখ্যমন্ত্রীর। দেশের দুরবস্থায় প্রার্থনার প্রসঙ্গও তোলেন তিনি। ধর্মীয় স্থান নিয়ে ভারত সরকার ভাববে বলে আশাবাদী মমতা।

আরও পড়ুন: সোমবার থেকে লকডাউন কতটা? আজ বলতে পারে কেন্দ্র

আরও পড়ুন: সরকারি, বেসরকারি বাসে যত আসন, তত যাত্রী: মমতা

বর্তমানে সরকারি, বেসরকারি অফিসে ৫০% কর্মী নিয়ে কাজ চলছে। নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে ৮ জুন থেকে সরকারি–বেসরকারি অফিসে ১০০% কর্মী নিয়ে কাজ করার কথা বললেও রাতে টুইটে মুখ্যমন্ত্রী জানান, এ বার ৭০% কর্মী নিয়ে কাজ করতে পারবে সরকারি অফিস। বেসরকারি অফিসে যতটা সম্ভব ঘরে থেকেই কাজ করার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। তবে এ-ও বলেছেন, এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। এ ছাড়া, সোমবার থেকে চা এবং পাট শিল্পে ১০০ শতাংশ কর্মী কাজে যোগ দিতে পারবেন। শহরের হকার্স মার্কেট ইতিমধ্যেই খুলতে শুরু করেছে। হকারদের ক্ষেত্রে জোড়-বিজোড় সংখ্যা ব্যবহার করে যাতে দোকান খোলা যায়, তা দেখতে পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।

বিভিন্ন জায়গায় ব্যক্তিগত চেম্বার, ক্লিনিকে রোগী দেখছেন না চিকিৎসকেরা। মুখ্যমন্ত্রীর মত, চিকিৎসকেরা যেন বর্মবস্ত্র (পিপিই) ব্যবহার করে ধীরে ধীরে রোগী দেখতে শুরু করেন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement