সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী।
রাজ্যের সমস্ত স্কুল, কলেজ এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আগামী ১০ জুন পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। জানিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দেশ জুড়ে লকডাউনের মেয়াদ বাড়ানো নিয়ে শনিবার ভিডিয়ো কনফারেন্সে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা সেরে সাংবাদিক বৈঠক করে জানিয়ে দেন, প্রধানমন্ত্রী ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত লকডাউন বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তার পরই রাজ্যের স্কুল-কলেজগুলি বন্ধ রাখার কথা জানান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
করোনার প্রকোপ ঠেকাতে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে তিনি আন্তর্জাতিক সীমান্ত বন্ধ রাখার আর্জি জানিয়েছেন বলেও জানান মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘‘অমিত শাহকে জানিয়েছি, বাংলার তিন দিকে সীমান্ত রয়েছে। বাইরে থেকে লোক ঢুকে পড়ার চেষ্টা করছেন।অবিলম্বে তা বন্ধ করতে হবে। নইলে বাংলা বিপদে পড়লে গোটা উত্তর-পূর্ব ভারত বিপদে পড়বে।’’ আন্তর্জাতিক বিমানের ওঠানামা এবং দূরপাল্লার ট্রেন চলাচলও আপাতত বন্ধ রাখতেও কেন্দ্রীয় সরকারকে আর্জি জানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
মুখ্যমন্ত্রী আরও জানান, লকডাউন চলাকালীন আগামী দিনেও অনলাইন ফুড ডেলিভারি চালু থাকবে। সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত বিপণিও খোলা থাকবে। কিন্তু রাস্তাঘাটে অযথা জমায়েত করতে নিষেধ করেছেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রী বলেছেন আগামী দুই সপ্তাহ গুরুত্বপূর্ণ। কষ্ট হচ্ছে বুঝতে পারছি। কিন্তু বাড়িতে থাকুন।’’
কী বলেন মমতা—
• করোনার মোকাবিলায় ডিজিপির ১০ শতাংশ খরচ করছে আমেরিকা। ইংল্যান্ড ১৫ শতাংশ এবং জাপান ২০ শতাংশ খরচ করছি। প্রধানমন্ত্রীকে জিডিপির ৬ শতাংশ খরচ করতে বলেছি।
• প্রধানমন্ত্রীর কাছে ২৫ হাজার কোটি টাকা চেয়েছি। অসংগঠিত এবং ক্ষুদ্রশিল্পের জন্য প্যাকেজ চেয়েছি।
• জিএসটি বাবদ বকেয়া আড়াই হাজার কোটি টাকা মিটিয়ে দিতে বলেছি কেন্দ্রকে।
• অনলাইনে ফুড ডেলিভারি চালু রাখা হবে।কিন্তু কোনও রকম জমায়েত করা যাবে না। ভিড় করা যাবে না রাস্তায়। ৩টি টাস্ক ফোর্স গঠন করা হয়েছে। কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পুলিশকে বলব কড়াকড়ি করতে, বাড়াবাড়ি নয়।
• নিয়ম না মানলে কড়া ব্যবস্থা। সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত বিপণি খোলা থাকবে।
• বাংলায় এখনও দু’লক্ষ পরিযায়ী শ্রমিক রয়েছেন। কেন্দ্র সরকারকে সবরকম ভাবে সহযোগিতা করছি। তাঁদের মন্ত্রীরাও যেন আমাদের সঙ্গে সহযোগিতা করেন।
• তেমন হলে রোগীর সংখ্যা আরও বাড়বে। তাই লকডাউন বাড়ানোর কথা বলেছি। লকডাউন চললেও ডাক্তারখানা খোলা থাকবে।
• অমিত শাহকে জানিয়েছি, বাংলার তিন দিকে সীমান্ত রয়েছে। বাইরে থেকে কিছু লোক ঢোকার চেষ্টা করছেন। বাংলা যদি বিপদে পড়ে তাহলে গোটা উত্তর-পূর্ব ভারত বিপদে পড়বে।
• আপত্তি জানিয়েছি কিছু বিষয়ে।
• প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত লকডাউন বাড়ানো হচ্ছে। তার পর পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে দেখা হবে।
• ১৬টি পরিবারের ৭০ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছে।
• রাজ্যে ৯৫ জন করোনায় আক্রান্ত রয়েছেন।