প্রতীকী ছবি।
পয়লা বৈশাখ কি নতুন এক আরম্ভের আভাস দিয়ে গেল?
প্রধানমন্ত্রী-মুখ্যমন্ত্রীর তালাবন্দি-বার্তা বলবৎ করতে আকাশ-মাটি সর্বত্র বজ্র আঁটুনি আরও মজবুত করল পুলিশ। উল্টোডাঙা, বেলগাছিয়া, তপসিয়ায় মঙ্গলবার পুলিশি নজরদারি বাড়াতে ঘনঘন চক্কর দিয়েছে ড্রোন। শীর্ষ পুলিশকর্তাদের সঙ্গে গার্ডেনরিচ-মেটিয়াবুরুজের গলিতে মাইক হাতে সঞ্চালক শাকিল আনসারি। করোনা-সচেতনতার বার্তা পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা চলল তাঁর জলদগম্ভীর কণ্ঠে। মাস্ক না-পরায় কলকাতায় অন্তত ১০০ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গাড়ি দাঁড় করিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ তো আছেই। রাজ্য জুড়ে জনতাকে নরমে-গরমে বোঝানোর চেষ্টা করেছে পুলিশ। ক্যানিংয়ে আইন ভঙ্গকারীদের দাঁড় করিয়ে গোলাপ দিয়ে গাঁধীগিরিও হল। মিষ্টি সহযোগে বিলি করা হল মাস্ক। না-শোধরালে পুলিশ যে অন্য মূর্তি ধরতে পারে, বলে দেওয়া হল সেটাও। খিদিরপুরের দুই তরুণ বাড়ি থেকে বেরোনোর সন্তোষজনক কারণ দেখাতে পারেননি। ময়দানে তাঁদের কান ধরে ওঠবোস করিয়েছে পুলিশ। এই সাজা সঙ্গত কি না, তা নিয়ে অবশ্য প্রশ্ন রয়েছে পুলিশ শিবিরেই।
এখন বাইরে বেরোলেই মুখাবরণ আবশ্যিক। তা মাস্ক হতে পারে, গামছা-ওড়না-রুমালও চলবে। পোস্তা, হাজরা, মল্লিকবাজার, নিউ মার্কেটে খাবার বিলির সময়েও অনেক ফুটপাতবাসীর মুখে মাস্ক। মাস্ক না-থাকায় আলিপুরদুয়ারে ২০ জন গ্রেফতার। ঝালদার কিসানমান্ডির আনাজ বিক্রেতা, সন্দেশখালি, হিঙ্গলগঞ্জ, মালদহ, ঝাড়গ্রাম বাজারে অনেককে মাস্ক পরিয়েছে পুলিশ।
তবে মেদিনীপুর, বহরমপুর, দুই ২৪ পরগনার বিভিন্ন এলাকায় বাজার করা থেকে রাস্তার ধারের আড্ডা লকডাউনের কড়াকড়ির সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ ছিল না বলে জানাচ্ছে পুলিশ। বনগাঁয় মোটরবাইক রেস থেকে ফুটবল খেলার মতো কয়েকটি অভিযোগ ঘিরেও পুলিশের কপালে ভাঁজ। খড়্গপুরে ইডলি-দোসার দোকান থেকে সেলুন খোলা ছিল। মেচেদা, গড়বেতা, রায়গঞ্জ, মালদহে নিয়ম ভাঙার ছবি অজস্র।