হাওড়া পুরসভা। ফাইল চিত্র।
হাওড়ায় মানুষকে ঘরবন্দি রাখতে আরও বেশি ওয়ার্ডে বাড়ি বাড়ি মুদির জিনিস এবং কাঁচা বাজার পৌঁছে দেবে পুরসভা। প্রাথমিক ভাবে সোমবার থেকে উত্তর হাওড়ার ছ’টি ওয়ার্ডে হোম ডেলিভারি চালু করেছে পুর প্রশাসন। পুর কমিশনার বিজিন কৃষ্ণ জানান, প্রথম দিনে ভাল সাড়া মিলেছে। আরও ওয়ার্ডে এই পরিষেবা দেওয়ার ভাবনা রয়েছে।
এ দিন শুধু মালিপাঁচঘরার তিনটি ওয়ার্ডই নয়, সংক্রমণ ছড়ানোর আশঙ্কা রয়েছে এমন মোট ছ’টি ওয়ার্ডে (১-৬) হোম ডেলিভারি চালু করেছে পুরসভা। বাড়ি বাড়ি জিনিসপত্র পৌঁছনোর জন্য হাওড়া সিটি পুলিশ এবং খাদ্যসামগ্রী সরবরাহ করার একটি বেসরকারি সংস্থার সাহায্য নিচ্ছেন পুর কর্তৃপক্ষ। পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, সকাল আটটায় পুরসভার কলসেন্টার চালু হওয়ার পরে প্রায় ৭০টি ফোন এসেছে। সব ফোন অবশ্য অর্ডার দেওয়ার জন্য নয়। সত্যিই ফোন করে জিনিস পাওয়া যাবে কি না, জানতে চেয়েছেন অনেকে। যে টোল-ফ্রি নম্বরে ফোন করতে হবে, পুরসভার পক্ষে সেটি জানিয়ে মাইকে প্রচার চালানো হয়। এ ছাড়াও সোশ্যাল মিডিয়ায় বিষয়টি প্রচার করা হয়েছে।
পুরসভা জানিয়েছে, ফোনে মুদির দোকানের মোট ৪৩টি নির্দিষ্ট জিনিসের বরাত দেওয়া যাবে। ন্যূনতম ২০০ টাকা এবং ১০ কেজি ওজনের মধ্যে এক বা একাধিক জিনিসের বরাত দিতে পারবেন ক্রেতা। দায়িত্বপ্রাপ্ত পুরকর্মী বা সংশ্লিষ্ট বেসরকারি সংস্থার কর্মী টাকা নিয়ে ক্রেতার বলে দেওয়া দোকানে যাবেন। সেখান থেকে জিনিস কিনে পৌঁছে দেবেন তাঁর বাড়িতে। প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত এই পরিষেবা মিলবে। কমিশনার বলেন, ‘‘প্রথমে উত্তর হাওড়ার ছ’টি ওয়ার্ডে পরিষেবা দিয়ে কতটা মানুষকে ঘরে রাখা যাচ্ছে, তা বুঝে পরবর্তী পদক্ষেপ করা হবে।’’
আরও পড়ুন: ‘হাই-রিস্ক স্পটে’ করণীয়: স্বাস্থ্য দফতরের নির্দেশিকা
তবে প্রথম দিন অভিযোগ উঠেছে, অনেকে ফোন করে লাইন পাননি। এ বিষয়ে পুর কমিশনার জানান, অনেকেই একসঙ্গে চেষ্টা করছেন। তাই সাময়িক সমস্যা হচ্ছে। পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, আনাজ বিক্রেতাদেরও ভ্যানে করে পণ্য চাপিয়ে বাড়ির সামনে গিয়ে বিক্রি করানোর ব্যবস্থা হয়েছে।
আরও পড়ুন: করোনা: মেডিক্যালে আক্রান্ত মা, সতর্কতা
এ দিকে, হাওড়া জেলা হাসপাতালে ফের এক চিকিৎসকের করোনা পজ়িটিভ ধরা পড়ায় সেখানে নতুন করে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। এরই মধ্যে এ দিন হাসপাতাল ঘুরে দেখেন জেলার নবনিযুক্ত মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক বীরেন্দ্রপ্রসাদ সাউ। তাঁর এবং জেলা স্বাস্থ্য দফতরের চিকিৎসকদের উপস্থিতিতে হাসপাতালের বাইরের চত্বর জীবাণুমুক্ত করে দমকল। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, সেখানে যে রোগীরা ছিলেন, বেশির ভাগ অন্যত্র চলে গেলেও কয়েক জন রয়ে গিয়েছেন। তবে নতুন রোগী ভর্তি বন্ধ। তাই ওই রোগীরা চলে গেলেই হাসপাতালের ভিতরে জীবাণুমুক্ত করার কাজ হবে।
(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)