—ফাইল চিত্র।
করোনা পরিস্থিতির মধ্যে রাজ্য প্রশাসনের সঙ্গে সংঘাত বাড়িয়েই চলেছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। রেশন বিলি ঘিরে অভিযোগ প্রসঙ্গে মুখ্যসচিব রাজ্যপালকে জবাবি চিঠি পাঠিয়েছিলেন। এ বার রাজ্যপাল রুষ্ট স্বরাষ্ট্রসচিবের চিঠিতে। বিজেপির সাংসদদের গতিবিধিতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ ‘ধামাচাপা’ দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে বলে মন্তব্য করে রাজ্যপালের হুঁশিয়ারি, এর শেষ দেখা হবে! রাজ্যপালের বিরুদ্ধে সরাসরি বিজেপির রাজনৈতিক স্বার্থে কাজ করার পাল্টা অভিযোগ এনেছে শাসক দল তৃণমূল।
লকডাউনের মধ্যে জন বার্লা, জয়ন্ত রায়, অর্জুন সিংহদের মতো বিজেপি সাংসদদের কেন প্রশাসন রাস্তায় বেরোতে বাধা দিচ্ছে, তা নিয়ে রাজ্যপালের প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রসচিব চিঠি দিয়ে জানিয়েছেন, আইনের চৌহদ্দির মধ্যেই যা করার, করা হচ্ছে। স্বরাষ্ট্রসচিবের ওই চিঠি পোস্ট করে রবিবার টুইটে রাজ্যপাল ধনখড় মন্তব্য করেছেন, ‘‘কোন দিকে যাচ্ছি আমরা! সাংসদদের গতিবিধি আটকানো সম্পর্কে চিঠিতে কোনও সারবস্তু নেই। পরিহাসের বিষয় যে, হাজার হাজার লোককে রোজ খাওয়ানোর ব্যবস্থা করতে পারেন কেউ। কিন্তু অন্যেরা বেরোতেই পারবেন না! গুরুতর বিষয়, এ ভাবে ধামাচাপা দেওয়াকে ছেড়ে দেওয়া যায় না।’’ জবাবে তৃণমূলের লোকসভার দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, ‘‘বিজেপি যা বলছে, রাজ্যপাল ওদের হয়ে তার চেয়েও বেশি বলছেন! সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নিয়ে রাজভবন থেকে কথা বলা হচ্ছে। লোকসভার স্পিকারকেও এই রাজ্যপালের ভূমিকার কথা জানানো হয়েছে।’’ বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ অবশ্য বলেছেন, ‘‘প্রশাসনের কাছে অভিযোগ জানিয়ে কাজ হচ্ছে না বলেই সাংবিধানিক প্রধান হিসেবে রাজ্যপালকে হস্তক্ষেপ করতে হচ্ছে। রাজ্য প্রশাসনের তো লজ্জিত হওয়া উচিত।’’
আরও পড়ুন: করোনা যুদ্ধে জেলার সাফল্য, আজ পরিদর্শনে ‘হু’
আরও পড়ুন: চিনের কিট চলে এল, র্যাপিড টেস্ট কী জেনে নিন
(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)